১৯ মে ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স : পরীক্ষার হলে হলে ঘুরছেন কয়েকজন শিক্ষক। দরজা আটকে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নকল। আবার একজন শিক্ষক একটি কাগজ দেখে দেখে ব্লাক বোর্ডে লিখে দিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীরা সে লেখা দেখে খাতায় লিখছে। সিসিটিভি ফুটেজের এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া, নির্ধারিত সময় পরেও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ গণিত পরীক্ষা ও ০৩ মার্চ (রোববার) ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ের পরও পরীক্ষা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বশিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে অতিরিক্ত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ গণিত পরীক্ষা চলাকালীন নির্ধারিত সময় পার হলেও দরজা আটকিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (০৩ মার্চ) ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা ১.১৫ মিনিটেও পরীক্ষা নিতে দেখা গেছে। অথচ পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার কথা দুপুর ১টায়। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা এমন দৃশ্যও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মেলে।সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই কেন্দ্রের কয়েকটি পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষকরা নিজ পকেট থেকে কাগজ বের করে পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে দিচ্ছেন।
এমনকি মোবাইল ফোন দেখে দেখে শিক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে আরও দেখা যায়, একজন শিক্ষক দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন, আরেকজন শিক্ষক পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো কক্ষে দেখা মেলে শিক্ষকরা নিজেই ব্ল্যাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বশিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ১০টি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। আটটি কক্ষে পরীক্ষা হলেও সিসিটিভির ক্যামেরা রয়েছে তিনটি কক্ষে। অপর পাঁচটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তবে সে কক্ষগুলোতেও একইভাবে অসদুপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রিয়াংকা দত্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।