২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে রুদ্ররূপ: তুলছে বালু ভাঙছে নদী পুড়ছে কপাল কাঁদছে মানুষ চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গায় ড্রাগন বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ১ প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঝালকাঠির লিটন চন্দ্র হালদার গ্রেফতার আগৈলঝাড়ার বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভোলার মনপুরায় তাসরিফ লঞ্চে হামলা, আহত ৫। বানারীপাড়ায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন চুয়াডাঙ্গায় কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থেকে সর্বোচ্চ পুলিশী সেবা প্রদানের আহবান চুয়াডাঙ্গায় উথলীতে কীটনাশকের দোকানে জরিমানা চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জনতা ব্যাংক পিএলসি’র নতুন ভবনে স্থানান্তরের উদ্ধোধন
চট্টগ্রাম বন্দরে হঠাৎ রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরে হঠাৎ রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

অনলাইন ডেস্ক

হঠাৎ করেই রাশিয়ার একটি নৌবহর চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোনো রুশ যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে এলো। রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস এক বার্তায় এসব তথ্য জানায়।

প্যাসিফিক ফ্লিট নামে এই নৌবহরে অ্যাডমিরাল ট্রাইবাটস ও অ্যাডমিরাল প্যান্টেলেভ নামে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। পেচেঙ্গা নামে একটি ট্যাঙ্কারও আছে এই বহরে।

রুশ দূতাবাস জানায়, রাশিয়ান প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করছে, যা রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। ৫০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) নৌবাহিনীর জাহাজ শেষবার বাংলাদেশের বন্দর পরিদর্শন করেছিল।

রাশিয়ান দূতাবাস আরও জানায়, ৫ দশক আগে রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল। এ কারণে অনেক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। সে সময় এই মাইন সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক দেশের কাছেই আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দেশ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু বিনিময়ে অনেক অর্থ দাবি করেছিল তারা; যা বাংলাদেশের ছিল না। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) একমাত্র দেশ হিসেবে মানবিক কারণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছিল। এরপর সমস্যা সমাধানে মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশন নামে একটি অভিযান চালানো হয়। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮ শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করে; যা ১৯৭২ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে। সেই অভিযানে এক রুশ নৌডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সারা বিশ্ব থেকে জাহাজ আসা-যাওয়ার পথ সুগম হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের মার্চে আসা সোভিয়েত নৌবাহিনীর প্রতিনিধি দলটি ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই জুয়েঙ্কোর নেতৃত্বে ১ হাজার নাবিকের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স মাইন অপসারণের কাজ শুরু করে। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল দেশটির ২৪টি জাহাজ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019