২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদদাতা :দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি
দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা আশির্বাদ এজি স্কুলে এক শিক্ষিকা ৫ম শ্রেণীর শিশু ছাত্রী রুপাইয়া খাতুন(১১)কে স্কুলের বারান্দায় দুই হাত তুলে রৌদ্রের তাপে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিয়েছে। পরে প্রচন্ড জ্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শাহিন হোসেনের মেয়ে রুবাইয়া খাতুন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিনের মত বুধবার স্কুলে যায়। স্কুলের অতিথী লিখন মন্ডলের স্ত্রী শিক্ষক নদী মন্ডল ক্লাসে সকলকে চিঠি লিখতে দেয়। রুবাইয়ার চিঠি লেখা ভাল না হওয়ায় তাকে প্রখর রৌদ্রে সুর্যের দিকে মুখ করে প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন। এরপর শিশু ছাত্রীটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার মা,বাবা বিষয়টি জানতে পেরে অসুস্থ্য মেয়েকে পরের দিন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
রাতে আবার প্রচন্ড জ্বর দেখা দেয় এতে সে ঠিকমত কথা বলতে না পারায় শুক্রবার আবারো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিতালি মন্ডল বলেন, নদী মন্ডল বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নয়, সে একজনের পরিবর্তে ক্লাশ নিচ্ছিলেন। শিশুটিকে রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রেখে এমন শাস্তি দেওয়া ঠিক হয়নি।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুসরাত জাহান বলেন, শিশুটির আগে থেকে জ্বর ছিল তারপর প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়ায় হিট স্টোক ও আতংকে আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা চলছে সব ঠিক হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন,ডাক ফাইলে শিশুটির বাবা শাহিন হোসেন অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।