২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

আজকের ক্রাইম ডেক্স॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৪র্থ শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুহিদ মিয়া (৪৫) একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিদ মিয়া নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত রিহান উদ্দিনের ছেলে।

ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মামা মো. রহিম আলী বাদী হয়ে সরাইল থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা প্রবাসে থাকেন। প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন ছিল প্রচুর বৃষ্টি। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়।

কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলে। ওই শিক্ষার্থীও স্যারের কথামতো বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কাজ শুরু করে।

এদিকে বাইরে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে শিশু শিক্ষার্থীর ধর্ষণের জন্য উদ্যত হয়। শিশু শিক্ষার্থী তখন চিৎকার শুরু করে। শিক্ষক মুহিদ মিয়া ছুরি বের করে শিশু শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার হুমকি দিই।

তখন ভয়ে ওই শিক্ষার্থীর চিৎকার বন্ধ করে। সেই সুযোগে শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে কেঁদে কেঁদে তার নানার কাছে ঘটনা খুলে বলে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপার সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেব।

সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মেয়ের মামা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019