২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় বন্ধুকে হত্যা করে আরেক বন্ধু। মরদেহ গুম করতে পুঁতে ফেলা হয় ষোলো ফিট বালির নিচে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় চার হত্যাকারীকে।
স্বজনদের আর্তনাদে ভারী মুন্সিগঞ্জের বোয়ালখালী এলাকার বালুর মাঠ। গত চার ফেব্রুয়ারি। পাওনা দশ লাখ টাকা ফেরত চাইলে অনুপ বাউল নামের এক সোনা ব্যবসায়ীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় তারই বন্ধু নয়ন মন্ডল। সেখানেই তাকে গলা টিপে হত্যা করে নয়ন মন্ডল ও তার সহযোগীরা।
এরপর মরদেহ ড্রামে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সিগঞ্জের বোয়ালখালী এলাকার বালুর মাঠে। সেখানে এক্সেভেটরের সাহায্যে মরদেহ পুঁতে ফেলা হয় ষোলো ফিট বালুর নিচে।
পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পাওনা টাকা নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না দুই বন্ধুর মাঝে। নয়নের কাছে ২৩ ভরি সোনার হিসাব চায় অনুপ বাউল। কিন্তু নয়ন হিসাব দিতে পারেনি। এ নিয়ে মার্কেটে নয়নের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় নয়ন মণ্ডল ও তার তিন সহযোগীকে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভেকুর মালিক রিপন মন্ডল (২৬), নয়ন মন্ডল (২৬), পিযুষ করাতি (২৫) ও দিলীপ চন্দ্র রায়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের শেষে প্রায় চার মাস পর বোয়ালখালী এলাকার বালুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত অনুপের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআই সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘নিহত অনুপ বাউল পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রমাণ গোপন করতেই মরদেহ গুম করেন তারা।’