১৯ মে ২০২৪, ০৯:১৩ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দিয়েছে উইকেটকিপার ব্যটার মুশফিকুর রহিম। তাতেই বিশাল পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা। র্নিধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩০৬ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে রান নিতে গিয়ে আফিফের থ্রোতে আউট হন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা রিয়াজ। ২ বলে ১ রান করে ফেরেন রিয়াজ। স্কোরকার্ডে ৭ রান যোগ হতেই হাসমতুল্লাহ শহীদিকে(৫) ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর দলীয় ৩৪ রানে আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান সাকিব আল হাসান। আজমতুল্লাহ ফেরেন ১৬ বলে ৯ রান করে।

৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। জাদরান ২৩ রানে মিরাজের বলে রিভিউ নিয়ে জীবন পান। এরপর দুজনের জুটিতে দলীয় ১০০ পার করে আফগানিস্তান। অবশেষে দলীয় ১২৩ রানে রহমতকে বোল্ড করে প্রতিরোধ ভাঙলেন তাসকিন। ৭১ বলে ৪ চারে ৫২ রান করেন তিনি। তার আউটে ভেঙে যায় ৮৯ রানের জুটি।

দলীয় ১৪০ রানে অর্ধশতক করা নজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরালেন তাসকিন। ৭ চারে ৬১ বলে ৫৪ রান করে জাদরান মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েছেন। ইনিংসের ৩২তম ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে ভাঙলো গুরবাজের স্ট্যাম্প। ১৫ বলে ১ চারে ৭ রান করেন তিনি।

ফলো করুন-
ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন সমকাল ইউটিউব
দলীয় ১৮৪ রানে নবীকে থামালেন মিরাজ। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে আফিফের হাতে ধরা পড়লেন মোহাম্মদ নবী। ৪০ বলে ৩২ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাট চালিয়েছেন তামিম। কিন্তু বেশিদূর লম্বা হয়নি অধিনায়কের ইনিংস। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ফারুকির বলে পরাস্থ হলেন তামিম। সপ্তম ওভারে তার দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন তামিম। রিভিউ নেন তামিম, কিন্তু তার পক্ষে যায়নি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার।

তামিমকে হারানোর পর জুটি গড়তে থাকেন সাকিব-লিটন। দুজনের জুটিতে বড় কিছুর আশা দেখলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। রশিদ খানের ফাঁদে এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের বিদায়ে ভেঙে যায় লিটনের সঙ্গে তার ৫৩ বলে ৪৫ রানের জুটি। ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব।

১৯.৪ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে দুর্দান্ত এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে শতক পাইয়ে দিলেন লিটন। এরপর ২৫তম ওভারে নবীর তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। ৮ চারে ৬৫ বলে অর্ধশতক তুলে নিলেন তিনি। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।

দুর্দান্ত ছন্দে লিটন-মুশফিক। ইতোমধ্যে দুজনের জুটিতে পেরিয়ে গেছে অর্ধশত রান। লিটনের ফিফটির পরেই এই জুটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এর আগে সাকিবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন। এবার রশিদকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুইপ করে মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে ফিফটি করেন মুশফিক। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৬টি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক।

৪১তম ওভারে রশিদ খানকে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডেতে নিজের পঞ্চম শতক তুলে নিলেন তিনি। ১৪টি চারে ১০৭ বলে শতকের দেখা পান লিটন। আউট হওয়ার পূর্বে ১৩৬ রান করেন লিটন দাস। ১২৬ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১৬টি চার এবং দুটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিক। তিনি থেমেছেন ৮৬ রানে। তার ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো। লিটন-মুশফিক মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২০২ রানের জুটি। এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তৃতীয় উইকেট জুটি। ততক্ষণে রান পাহাড়ে পিষ্ট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। শেষ ৩ ওভারে ১৯ রান যোগ করে টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬ রানে এবং আফিফ হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে আফগানিস্তানের ফরিদ ২টি এবং ফারুকি ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আফগানিস্তান দলে এসেছে তিন পরিবর্তন। ইব্রাহিম জাদরান, ইয়ামিন আহমদজাই ও গুলবাদিন নাইবের বদলে এসেছেন রিয়াজ হাসান, ফরিদ আহমেদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

বাংলাদেশ একাদশ:

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ:

রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019