১৮ মে ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতপাখা বিক্রেতার মৃত্যু মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি!
স্ত্রীকে সুখী দেখতে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন তিনি

স্ত্রীকে সুখী দেখতে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন তিনি

অনলাইন ডেস্ক

বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে? এই ছবিতে স্বামী অজয় দেবগন স্ত্রী ঐশ্বরিয়া রায়কে সুখী দেখতে তার প্রেমিক সালমানের সঙ্গেই স্ত্রীর বিয়ে দিতে চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্ত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে না গিয়ে স্বামীর কাছেই ফিরে আসেন।

সম্প্রতি সিনেমার মতো এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কানপুরে। তবে সিনেমায় অজয়ের স্ত্রী তার কাছে ফিরে আসলেও এই স্বামী নিজেদের বিয়ে উৎসর্গ করে স্ত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেন। শুক্রবার গোল চৌরাহায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় মাস আগে গুরুগ্রামের প্রাইভেট ফার্মে কাজ করা পঙ্কজ শর্মা বিয়ে করেন কমল নামের এক তরুণীকে।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ জানান, বিয়ের পর থেকে কমল তার সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখতেন। এই বিয়েতে স্ত্রীকে তার সুখী মনে হয়নি। সবসময়ই মতো হতো তিনি যন্ত্রণায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন।

পঙ্কজ আরও জানান, কমল কারও সঙ্গে কথাও বলতেন না। পরে তিনি কমলের কাছে তার সমস্যা কি তা জানতে চান। কমল জানান তিনি পিন্টু নামের একজনকে ভালোবাসেন এবং তার সঙ্গেই থাকতে চান। কমল এটাও জানান, তিনি পিন্টু বিয়ে করতে চাইলেও পরিবারের লোকজন জোর কর তাকে পঙ্কজের সঙ্গে বিয়ে দেন। স্ত্রীর মুখে এসব কথা শ্বশুর বাড়িতে জানালে সবাই কমলকে বুঝাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু কমল তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

পরবর্তীতে বিষয়টা পারিবারিক সহিংসতা বিরোধী সেল ও স্থানীয় আস্থা জয়তী সেন্টারে পৌঁছায়। এরপর ওই সংস্থা থেকে পঙ্কজ, তার স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক ও তার আত্মীয় স্বজনরা মিলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে কমল তার প্রেমিককে বিয়ে করে তার সঙ্গেই থাকার কথা জানান।

স্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে পঙ্কজই শেষে আগ্রহী হয়ে কমল আর পিন্টুর বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয়দের ভাষায়, এমন ঘটনা তারা শুধু সিনেমাতেই দেখেছেন। পঙ্কজ যা করেছেন তা সাধারণত কেউ করে না। তার এই আত্মত্যাগের কথা সবাই মনে রাখবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019