০৪ মে ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ তিন বছর পর জামিনে কারামুক্ত মামুনুল হক দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর… সাংবাদিককে হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন
কান্নায় বিরক্ত হয়ে ১৮ মাসের শিশুকে হত্যা।

কান্নায় বিরক্ত হয়ে ১৮ মাসের শিশুকে হত্যা।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
কুমিল্লার দেবীদ্বারে আমির হামজা নামে ১৮ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর ছয় মাস পর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। কান্নায় বিরক্ত হয়ে শিশুাটর আপন ফুফু স্বপ্না আক্তার তাকে হত্যা করে।

তদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট প্রাপ্তির সাপেক্ষে শিশুটির হত্যা রহস্য উদঘাটন করে আসামি আপন ফুফু স্বপ্না আক্তারকে রোববার (৩০ মে) গ্রেপ্তার করে দেবীদ্বার থানা পুলিশ।
সোমবার (৩১ মে) স্বপ্না আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে কুমিল্লা ৪নং আমলি আদালতের বিচারক রোকেয়া বেগমের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িতের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
নিহত শিশু আমির হামজা উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের আল আমিনের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাটিতে বসে কান্না করছিল শিশু আমির হামজা। পাশেই রান্না করছিলেন তার আপন ফুফু স্বপ্না আক্তার। তখন শিশুটি অতিরিক্ত কান্না করায় স্বপ্না আক্তার বিরক্ত হয়ে তরকারি গরম করার কাঠি দিয়ে প্রথমে শিশুটির গলায় আঘাত করে। পরে শিশুটিকে খাটের বিছানায় চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে সে বাঁচার জন্য খিচুনি রোগে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেয়।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমির হামজার মৃত্যুর পর তার ফুফুসহ পরিবার সকলে বলছিল খিচুনি রোগে তার মৃত্যু হয়। তখন দেবীদ্বার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন তার মা সালমা বেগম। তখন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এসআই মোর্শেদ। তিনি অন্যত্র চলে যাওয়ায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তভার পরে এসআই মাহবুবুর রহমানের হাতে।

গত ২৮ মে সকালে শিশুটির ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রির্পোট হাতে পেলে ঘটনায় ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। মেডিকেল রিপোর্টের সূত্র ধরে শুরু হয় অধিকতর তদন্ত ও পর্যালোচনা।রোববার (৩০ মে) রাতে শিশুটির ফুফু স্বপ্নাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই আগের অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় স্থানান্তর করে তাকে আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, শুধু কান্নাকাটি করার জন্য একটি শিশুকে হত্যা করেছে তারই আপন ফুফু স্বপ্না আক্তার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019