২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ বৃষ্টি প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজে কাঁদলেন ঝালকাঠিবাসী দামুড়হুদায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ রিয়াজ হোসেন খান পিপিএম। এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন
ভাবির সঙ্গে পরকীয়া, প্রাণ গেল যুবকের।

ভাবির সঙ্গে পরকীয়া, প্রাণ গেল যুবকের।

আজকের ক্রাইম ডেক্স

ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে খুন হন লাক মিয়া
নেত্রকোনার পূর্বধলায় লাক মিয়া (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বড় ভাই তারা মিয়া (২৩) ও ভাবি রুমা আক্তারকে (১৯) আটকের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরেই প্রাণ দিতে হয়েছে দেবর লাক মিয়াকে। এমনটিই নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।

পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছে ছেলে লাক মিয়া- এমন অভিযোগ এনে শনিবার বিকালে বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তারকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা পূর্বধলা উপজেলার ঘোমকান্দা গ্রামের আবু সিদ্দিক ফকির।

বাবার দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, ৪-৫ মাস ধরে তার পুত্রবধূ রুমা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে লাক মিয়ার অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার লাক মিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে। দুই দিন আগে তিনি ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এ সুযোগে তার বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার ছোট ছেলে লাক মিয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।

হত্যার পরে তাকে মোবাইল ফোনে জানায়, লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বা গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিহত ছেলের থুঁতনিতে ও বুকে দাগ দেখতে পান।

আবু সিদ্দিক ফকিরের ধারণা, তার ছেলে লাক মিয়াকে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তার বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।

পূর্বধলা ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু এমন খবরে শুক্রবার বিকালে স্থানীয়রা ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই যুবকের লাশ দাফন করতে চায়। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনাটি তার কাছে রহস্যজনক মনে হওয়ায় তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। এ সময় সন্দেহভাজন হিসাবে নিহতের বড় ভাই ও ভাবিকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য।

হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আরও জানান, মামলা দায়েরের পরপরই ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019