২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স: ‘পারলে আমর নামে নিউজ করেন, আমিও দেখে নিব। আমি একজন কাউন্সিলর, আমার সাথে কথা বলবেন বুঝেশুনে। আজ সারাদিন সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেছি। আর ভাললাগেনা। কথা থাকলে বাসায় আসেন” মুঠোফোনে প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন বিসিসি’র সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতু। এরপর তিনি ফোনটি কেটে দেন।
সম্প্রতি বিসিসি’র সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও কোতয়ালী মডেল থানার ওসির কাছে মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে এক ভুক্তভোগী জানান।
অভিযোগকারী আরও জানান, এর আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে এম এ পাসের জাল সার্টিফিকেট বৈধ বলে জমা দেওয়ার অভিযোগে বাদ পরা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই একই পদে প্রতিদ্বন্দী অপর প্রার্থী তাসমিমা আহম্মেদ বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহম্মেদ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত মাকসুদা আক্তার মিতু বরিশাল নগরের শহীদ আলতাফ মেমোরিয়াল সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, গত ২৮ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাকসুদা আক্তার মিতু মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মিতু তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ পাসের সার্টিফিকেট জমা দেন। যা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার বৈধ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু ৪ জুলাই ওই বৈধ আদেশের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী তাসমিমা আহম্মেদ বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। ৫ জুলাই মিতুর দাখিল করা এমএ পাসের সার্টিফিকেট জাল উল্লেখ করে কলেজ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ায় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রের বৈধতা বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে গত ৮ জুলাই ‘১৮ ইং তারিখ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অনলাইন ভার্ষণে “মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামালা” শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়।