০৮ মে ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দর্শনায় উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং মাহমুদ হাসান রনি, ঘোড়াঘাটে কোটি টাকা নিয়ে কর্মকর্তা উধাও খাদ্য গুদাম সিলগালা রহমতপুরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের স্কুল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঘোড়াঘাটে সরঞ্জামসহ ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার বরিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে  মনোনীত অফিসার-ফোর্সদের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শাহজালাল (র.) ওরস উপলক্ষে ঐতিহাসিক লাকড়ি তোড়া উৎসব অনুষ্ঠিত কালকিনিতে বজ্রপাতে প্রতিবন্ধীর নিহতের পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা বানারীপাড়ায় অধ্যাপক নিত্যানন্দ শীলের পরলোকগমণ বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা
বাবুগঞ্জে কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতাসাধারণ।

বাবুগঞ্জে কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতাসাধারণ।

Exif_JPEG_420

বাবুগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায় থেকে পিস হিসেবে বা ক্ষেত ধরে কিনে আনা তরমুজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছেন কেজি দরে। যার ফলে দামে ঘটছে বিস্তর ব্যবধান।

ক্ষুব্ধ ক্রেতাসাধারণ বলেন, কেজিপ্রতি কিছুটা দাম বাড়িয়ে দিলেই একটি তরমুজের দাম বেড়ে যাচ্ছে অনেক। রমজানের আগে তরমুজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। যা ক্রেতাসাধারণ ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বাজারের ক্রেতা মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। এখন একটি তরমুজ কিনতে হলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার প্রয়োজন হয়। যা অনেক ক্রেতার পক্ষেই ক্রয় করা সম্ভব নয়।

রমজানের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে ক্রয় করা যেত কিন্তু এখন এত বেশি কেন তা আমার বোধগম্য নয়।

ব্যবসায়ী মোঃ কাওছার বলেন, রমজানের আগে দাম কিছুটা কম ছিল কিন্তু রমজানের কারণে আড়তদাররা বেশি দাম নিচ্ছেন যার ফলে আমাদের একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাবুগঞ্জ বাজারে তরমুজ ক্রয় করতে আসা মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গত বছর পিস হিসেবে তরমুজ কিনেছি, তাতে দাম অনেক কম পড়তো। এবার কেজি হিসেবে কিনেছি। দাম অনেক বেশি পড়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহ মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, বাবুগঞ্জে তেমন একটা তরমুজের আবাদ হয় না। এ কারণে চাহিদা পূরণে অন্যত্র থেকে আনা হয়। সে কারণে তরমুজের দাম একটু বেশি হতে পারে। তবে অস্বাভাবিক হারে দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা দায়ী।

বাবুগঞ্জ বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মোঃ সাইদুল বলেন, তরমুজ আগে আনা হতো চট্টগ্রাম থেকে, তখন দাম কম ছিল। এখন খুলনা, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হচ্ছে। ১শত তরমুজ ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা দরে কিনতে হয়। তারপরে পরিবহন, শ্রমিকসহ অনেক খরচ আছে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, ১টি তরমুজ এর দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাক পরে যায়। পিস হিসাবে দাম চাইলে ক্রেতারা কিনতে চায় না। তাই কেজি হিসাবে বিক্রি করি।

বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কয়েকটি কৃষি পণ্যের। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তবে, তরমুজের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এছাড়াও তিনি বলেন, কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019