২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ রাত ১টার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি সংকেত পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ রেকর্ড,হিট ওয়েভের সতর্কবার্তা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি গাড়ি-বাড়ি নিয়ে শো-অফ, ভুয়া ভিসা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি মামুন বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন
সিলেটে হঠাৎ করে লকডাউনে পুলিশ কঠোর অবস্থানে।

সিলেটে হঠাৎ করে লকডাউনে পুলিশ কঠোর অবস্থানে।

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে হঠাৎ করে লকডাউনে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়। ১৮ এপ্রিল রোববার দুপুর ১২ টা সিলেটে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের ব্যাপক অ্যাকশন নিতে দেখা যায়। মানুষের সমাগম ও অটোরিক্সা, মোটর সাইকেলট জটলা দেখলে পুলিশ গাড়ির রেকার ও মামলা, জরিমানাও করা হয়েছে।
এরপরও জরুরি প্রয়োজনের বাইরেও বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ রাস্তাায় চলাচলের চেষ্টা করেছেন অনেকে। দ্বিতীয় দফায় কড়াকড়ি লকডাউনের ৫ম দিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দুপুরের দিকে দেখা যায়, সুবিদবাজার পয়েন্টে দু’জন পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে টুকেরবাজার থেকে সিএনজি অটোরিক্সা এলে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছেন। এর মধ্যে অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন এবং মাঝে মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন। এছাড়া, সিলেট নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, সোবহানীঘাট, মেডিক্যাল রোড, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়, এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউন সিলেটে কঠোর ভাবে পালন হচ্ছে।
লকডাউনের চতুর্থ দিন হিসেবে গতকালও নগরীর বিভিন্ন সড়ক অনেকটা ফাঁকাই ছিলো। তবে, রোববার অন্য দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া, সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি। অপরদিকে, বন্ধ ছিল দোকানপাট ও শপিংমল গুলো। মাঝে মধ্যে দু’একটি রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। কিন্তু সিএনজি ও অটোরিক্সা খুব বেশি চোখে পড়েনি। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে আম্বরখানা, চৌহাট্টা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, কদমতলিসহ সকল মোড়ে। আর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে টহল। কোথাও সড়কেই আচমকা থামানো হচ্ছে গাড়ি। জিজ্ঞেস করা হচ্ছে বের হওয়ার কারণ।
জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া বেশির ভাগ লোকজন রিক্সা করে যাতায়াত করছেন। তবে মাঝে মধ্যে দু-একটি ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। অপ্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনকে ঘরে ফেরাতে রাস্তায় রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল শনিবার সিলেট কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ছিলো সুনসান নীরব। সিলেট থেকে কোনো বাস, রেল এবং বিমান ছেড়ে যায়নি। তাই, যাত্রীদের আনাগোনা ছিল না এসব স্থানে। শনিবারের তুলনায় রোববার সকাল থেকে মানুষ গাড়ির ঘোড়ার কিছুটা চাপ বেড়তি ছিল।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধও করছে পুলিশ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019