০২ মে ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম কে এম পি লবণচরা থানা পুলিশের অভিযানে সোনা চোরাকারবারি গ্রেফতার,৭ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার তেঁতুলিয়ায় আচরণবিধি মানছে না প্রার্থীরা, পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তদারকি নেই সংশ্লিষ্টদের বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী দুলালের মতবিনিময় বিদেশে পালানোর সময় শত কোটি টাকা আত্মসাতের হোতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার উসকানিতে নিজের রুটি-রুজির সংস্থান ধ্বংস করবেন না: শেখ হাসিনা
এবার মামুনুলের আরেক ‘প্রেমিকার’ সন্ধান।

এবার মামুনুলের আরেক ‘প্রেমিকার’ সন্ধান।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
হেফাজত নেতা মামুনুল হকের আরেক ‘প্রেমিকা’র সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতদিন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ওই নারীকে তার প্রথম স্ত্রী হিসেবে ধারণা করে আসছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিনে তাদের একাধিক ফোনালাপ ফাঁস এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে তৃতীয় ‘প্রেমিকার’ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

মামুনুল হক সম্পর্কে ছায়া অনুসন্ধান করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট তথ্য পায়, বিবাহিত ওই নারীর সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্নার মতো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল মামুনুল হকের।

জানা গেছে, মামুনুল হক ওই নারীর সঙ্গেও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ওই নারী শিক্ষকতা করতেন একটি মহিলা মাদ্রাসায়। তার ব্যবহৃত ডিভাইস থেকে মিলেছে এ সংক্রান্ত নানা তথ্য-উপাত্ত।

অনুসন্ধান বলছে, ‘তৃতীয় প্রেমিকা’ যেখানে শিক্ষকতা করতেন মামুনুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা। আর মাদ্রাসার পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। সেই সুবাদে মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন মামুনুল হক। এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে গণমাধ্যমের কাছে।
মাওলানা মামুনুল হক ও ওই নারীর একাধিক ফোনালাপ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে গণমাধ্যমের কাছে এসেছে। ফাঁস হওয়া এসব ফোনালাপের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও ওই শিক্ষিকার বাসায় যাতায়াতের বিষয়টি।

নারায়ণগঞ্জের ওই ঘটনার পর তৃতীয় প্রেমিকা সম্পর্কে কিছুটা তথ্য পাওয়া যায় একটি ফোনালাপের পর। সে সময় রিসোর্টে থাকা অবস্থায় মুফতি এনায়েতুল্লাহকে ফোন করেছিলেন মামুনুল হক। ওই ফোনালাপে মুফতি এনায়েতুল্লাহকে কথিত স্ত্রী নিয়ে রিসোর্টে যাওয়ার কথা জানালে এনায়েতুল্লাহ মামুনুল হককে জিজ্ঞেস করেন ‘কোন ভাবি, কাপাসিয়ার?’ সে সময় তিনি উত্তরে বলেন, না, খুলনার। অবশ্য এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মুফতি এনায়েতুল্লাহ।
গত ২৬ মার্চ থেকে মোদিবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই ওই নারীর বাসায় গিয়ে একান্ত সময় কাটিয়েছেন মামুনুল হক। ৪৯ সেকেন্ডের অডিওতে ওই নারীকে মামুনুল হকের মতো হুবহু কণ্ঠে বলেন, ‘হ্যালো আমি আসছি।’ উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘চলে আসছেন। গেট খোলা আছে।’
মামুনুল হকের মতো কণ্ঠে বলা হয়, ‘গেট খুলে আমাকে রিসিভ করার ব্যবস্থা করো। এছাড়া কেউ আছে নাকি দেখো আগে।’ সেসময় ‘আচ্ছা’ বলে ফোনের লাইন কেটে দেন ওই নারী। ওই বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর ফাঁস হয়েছে মামুনুল হক ও ওই নারীর আরেকটি ফোনালাপ।
সময় সংবাদের হাতে আসা অডিও ফোনালাপের কথোপকথন পাঠকদের জন্য হুবহু ‍তুলে ধরা হলো-
পুরুষ: চলে আসছি। বুঝছো…
নারী: ঠিক আছে। শুনছি।
পুরুষ: চোরের মতো কথা কও কিল্লাইগা। জোরে জোরে কথা কইতে পারো না?
নারী: জোরে কে কমু। বেশি করে কমু। সমস্যা কী?
পুরুষ: হে হে হে…. গুড নাইট। ফ্রেস-ট্রেস হয়ে নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করো। বুঝছো।
নারী: কী হইছে?
পুরুষ: ফ্রেস হইয়া নামাজ-টামাজ পরবা না?
নারী: হু।
পুরুষ: নামাজ পড়ো আর আমার জন্য দোয়া করো।
নারী: বাসায় পৌঁছে একটা মেসেজ দিয়েন।
পুরুষ: বাসায় পৌঁছে মেসেজ দেওয়ার কী আছে? বাসায় তো পৌঁছায়া গেছি।
নারী: কী হইছে।
পুরুষ: বাসাতো এইখানে।
নারী: আচ্ছা…. যান।
পুরুষ: আচ্ছা।
নারী: আসসালামু আলাইকুম।
ফাঁস হওয়া আরেকটি ফোনালাপের ৩ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের অডিওতে মামুনুল হকের মতো কণ্ঠে ওই নারীর সঙ্গে বাইরে রাত কাটানোর বিষয়েও আলাপ হয়। এছাড়া ওই নারীকে সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাও মনে করিয়ে দেন ওই কণ্ঠের ব্যক্তি।
ওই ফোনালাপ তুলে ধরা হলো-
নারী: আসসালামু আলাইকুম।
পুরুষ: ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ।
নারী: দেখছো।
পুরুষ: না।
নারী: তাহলে আগে প্ল্যানটা বলেন।
পুরুষ: প্ল্যান-টিলান আর বলতে পারুম না। হাতে সময় বের করতে পারি কিনা। পারলে তখন কী করবো সেটা বলো।
নারী: আমি বলি শোনেন। আপা আছে না।
পুরুষ: হ্যাঁ।
নারী: আপার ইবনে সিনায় কিছু টেস্ট আছে।
পুরুষ: হ্যাঁ।
নারী: চাইছিলাম আজকে টেস্টগুলো করতে দেওয়ার জন্য।
পুরুষ: হ্যাঁ।
নারী: আমি বের হলেও তো এদিকে কাজগুলো পারবো না। আর আপার টেস্টের জন্য বের হলে সাড়ে ৩টার পরে বের হবো।
পুরুষ: সাড়ে ৩টায় বের হও। আমার প্রোগ্রাম আরও পরে। তারপর কী করবা। উনি কী করবে তুমি কি করবা।
নারী: বাসায় নিয়া আমু। আমারে জিগাইসে দেরি হলো কিল্লায়গা। আমি বলেছি ডাক্তারের সিরিয়াল পাইতেছিলাম না। সিরিয়াল পাইতে দেরি হইছে। পরে আমি বলছি আর সমস্যা নাই। আমি বাসায় একলা থাকতে পারব। থাকতে তো পারব, এটা আমিও জানি। সমস্যা কী? থাকবো। কিন্তু আমি যদি রাতে ব্যাক করি। রাতে তো মনে হয় ব্যাক করা হবে না। আসলে সকালে। বুঝছো।
পুরুষ: সে রকমই তো। এখন কী করবা বলো। ঝামেলা হয়ে গেলো।
নারী: আমারে নিয়ে না আপনার কই যাওয়ার কথা।
পুরুষ: কোথায়, বলো।
নারী: হু
পুরুষ: কই যাওয়ার কথা।
নারী: সমুদ্রে যাওয়ার কথা।
পুরুষ: না। সেটা তো আলাদা, আলাদা প্রোগ্রাম করতে হবে। সেটা তো আরও কয়েকদিন পরে করব ইনশাআল্লাহ।
নারী: আচ্ছা। আপনি সময় পেলে করবেন। আমি আপারে টেস্ট করায়ে, হয়তো টেস্ট শেষ হতে রাত ৮/৯টা বাইজে যাইতে পারে।
পুরুষ: ওরে বাপরে বাপ।
নারী: আল্ট্রা করে যে উনি বসে ৬টায়। ও তো একলা আসতে পারবো না এটা কয়ে লাভ না। বাসা পর্যন্ত। আজকে মনে হয় না হইবো।
পুরুষ: আচ্ছা ঠিক আছে।
নারী: আর যদি মনে করেন খুব বেশি সমস্যা তাহলে আজকে না কালকে গেলাম। কালকে শনিবার। এখন আপনার ওপর নির্ভর। আপনি তো সময় বের করা সো টাফ।
পুরুষ: সারাদিন তো কাজ-কাম। কোনো কিছু সহজ না।
নারী: এহন আপনার ইচ্ছা। আমারে যা কইবেন তাই। আমার অতো শখ নাই।
পুরুষ: আচ্ছা তুমি তোমার মতো কাজ চালাইতে থাকো। টেস্ট-মেস্ট করাও তারপর দেখি।
নারী: আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে আমি সাড়ে ৩টার পর আপারে নিয়ে বেরুবো।
পুরুষ: ঠিক আছে।
নারী: আচ্ছা, আসসালামু আলাইকুম।
পুরুষ: ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ।
ফাঁস হওয়া আরও একটি ফোনালাপ:
নারী: আসসালামু আলাইকুম।
পুরুষ: ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ। কী অবস্থা। ঝামেলা নাকি।
নারী: না। বলেন।
পুরুষ: কথা এমনে কইতাছো ক্যান। মনে হয় যে ঘুমায় ঘুমায় কথা কইতাছো।
নারী: ঘুমায় ঘুমায় কথা বলতাছি না। ক্লাসে আছি। অফিসে বসেন। আমি আসতাছি।
পুরুষ: কেন আমি অফিসে বসবো। আমি অফিসে বসব না। আমি এখন কথা বলবো এবং যা ইচ্ছা তাই বলব।
নারী: বাড়াবাড়ি করতাছেন যে।
পুরুষ: বাড়াবাড়ি কী করছি আবার। কথা বলা মানুষের বাক স্বাধীনতা।
নারী: আপনি তো আমার বাক স্বাধীনতা হরন করছেন। পোলাপাইনের সামনে অনেক কিছু বলতে পারছি না।
পুরুষ: হা হা হা
নারী: মজা নিতাছেন।
পুরুষ: এটা ঠিক না, এটা ঠিক না। একজনকে লাইনে রাইখা আরেকজনের সঙ্গে কথা বলা। না এটা ভদ্রতা পরিপন্থী কাজ। ওনারা থাকলে এখন তো আর যাওয়া যাইবে না।
নারী: এক ঝামেলার মধ্যে এত রস আসে কোত্থেকে।
পুরুষ: আজকেই বিকালে, সন্ধ্যায় আসতাছি।
নারী: আরে নাহ।
পুরুষ: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি জানাও।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019