০৪ মে ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার নামে চরম প্রতারণা।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার নামে চরম প্রতারণা।

এম.এ.আর.নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার ।। নতুন বা পুরাতন যেকোন ধরনের মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিতে কোন শোরুম পেপার বা অন্যান্য কাগজপত্র লাগেনা রজিবুল নামের এক ব্যক্তির। শুধুমাত্র টাকা দিলেই তিনি সবধরনের মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজ বিআরটিএ অফিস থেকে এনে গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারেন। আর এ সমস্ত কাজ করে তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশনই নই, মোটরসাইকেলের হারানো কাগজপত্র তুলে এনে দিতে তার লাগেনা কোন জিডি’র কাগজ, প্রকৃত মালিকের উপস্থিতি, সম্মতি বা সীল-স্বাক্ষর। হারানো মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বললেই তিনি বিআরটিএ থেকে অনায়াসে সেই রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের গাড়ির হারানো কাগজের কপি এনে দিতে পারেন। আর এই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটিই হলো চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত রায়হান মেম্বারের ছেলে রজিবুল। জীবননগর উপজেলার একাধিক গ্রামের অনেক মোটরসাইকেল মালিকগণের সাথেই তিনি এমনটি করেছেন। গাড়ির কাগজের বিষয়ে তেমন কোন ধারণা না থাকায় সরল মনে বিশ্বাস করে মোটরসাইকেলের মালিকগণ কাগজটি তার কাছ থেকে নিয়ে সযত্নে তুলে রাখছেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটছে গাড়িটি যখন বিক্রয় করা হচ্ছে তখন। ক্রেতাকে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার সময় দেখা যাচ্ছে কাগজটি অন্য গাড়ির এবং বিক্রিত গাড়ির ইঞ্জিন নং ও চ্যাসিস নং এর সাথে সেই কাগজের কোন মিল নাই। যদিও এতে কোনকিছু যাই আসেনা রজিবুলের। অত্যন্ত দাম্ভিকতার সাথে তার সোজাসাপ্টা জবাব, আমিতো সঠিক কাগজই বুঝিয়ে দিয়েছি। আর কাগজে সমস্যা থাকলে তো বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তাতে সই করতো না। উথলী ডিগ্রি কলেজের এক প্রভাষক এবং উথলী গ্রামের এক বাস ড্রাইভারের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র জালিয়াতি করাসহ উপজেলার অনেক জায়গায় তিনি এমন কাজ করেছেন। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে যান এবং বলেন আপনারা যা পারেন করে নেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আপনাদের নামে মামলা করবো। এ বিষয়ে বিআরটিএ, চুয়াডাঙ্গা+মেহেরপুর সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, বিআরটিএ অফিস থেকে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র জালিয়াতি করে কারো হাতে তুলে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। কেউ যদি এ ধরনের জালিয়াতির কাজ করে থাকে এর দায়ভার তার ব্যক্তিগত। সে কোথা থেকে কাগজ তৈরি করছে এটা আমার জানা নেই। তারপরেও বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখবো। তবে রজিবুলের প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাকে এখনি থামানো না গেলে আরও অনেক সহজ সরল ব্যক্তির সাথে সে প্রতারণা করবে। তবে মোটরসাইকেল মালিকগণের উচিৎ কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাইপূর্বক নিজ হাতে বিআরটিএ অফিসে রেজিস্ট্রেশন ফাইল জমা দেওয়া। তাহলে কেউ প্রতারণা করার সুযোগ পাবেনা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019