২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট চলছে। ভোটের উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদেও। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ।
একটি খসড়া আইন পাসের সময় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ভোটের প্রসঙ্গ তুললে আইনমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা এর জবাব দেন।
‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন)-২০২১’ সংসদে পাসের সময় বিলটি নিয়ে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তোলেন বিএনপির হারুনুর রশীদ।
এ সময় তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে– সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। প্রহসন হচ্ছে। এর প্রয়োজন নেই।
সাংসদ হারুন আরও বলেন, এ ধরনের ভোটের প্রয়োজন নেই। আইন সংশোধন করা হোক। প্রধানমন্ত্রী যাকে খুশি নিয়োগ দেবেন। তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটের নামে প্রহসনের প্রয়োজন নেই।
এ সময় সরকারদলীয় সদস্যরা প্রতিবাদ করলে হারুন বলেন, ‘একটুকুও অসত্য বলছি না। তথ্য জেনে বলছি।’
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্য সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার পর বলেন, আমরা এখানে যারা আছি, গতকালকে জন্ম নিই নি। উনারা নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সময় ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেখেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি। ব্যালটবাক্স পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে, ব্যালট বাক্স নেই।
পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ভোট দেয় প্রশাসন। আর দেখে জনগণ। ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেই তো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটি সবাই জানে। ভোটটা দিতে দিলেই হয়।
পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় হারুন বলেন, এখনই দেখেন চট্টগ্রামে বহু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের পাস দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে এখনই ফোনে দেখাতে পারব।