২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
রাজধানীর বানানীর সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন এক নারী (৩৮) । চাকরিতে যোগদানের পর থেকে কোম্পানির পরিচালক জহুরুল ইসলাম তাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী নারী রাজি না হলে তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন কোম্পানির পরিচালক।
একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই নারী। গত ৩১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র নিয়ে যান জহুরুলের অফিসে। অফিসে কেউ না থাকায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন জহুরুল। এ ঘটনায় গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জহুরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
আদালত মামলাটি উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জহুরুলকে হাজির করা হয়। জহুরুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দাস।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার দাস উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট মামলার বাদীর সঙ্গে আসামি জহুরুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে জহুরুল বাদীকে তার কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দেয়। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট আসামি জহুরুল বাদীকে সুইফট ডেলপমেন্ট কোম্পানির নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারী আসামি জহুরুলের পরিচালনাধীন সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থায় আসামি জহুরুল বাদীল সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। বাদী রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে বাদী আসামি জহুরুলের কোম্পানিতে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে অফিসে যান ভুক্তভোগী নারী। জহুরুল তার অফিসের বিশ্রামকক্ষে বাদীকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।