২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো: জাকিরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি::-
বড় অভিমান নিয়ে চলে গেলেন সাংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, হাজারো সাংবাদিকের শিক্ষাগুরু ও আইডল জেড. আলম (৬০)।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ি গ্রামে এক গৃহস্থ পরিবারে জন্ম নেয়া জেড আলম উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে।
হাইস্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা ও সংবাদ লেখা শুরু করেন। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আজীবন সদস্য জেড আলম দীর্ঘকাল সাহিত্য পরিষদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাছাড়া আবৃত্তি শিল্পেও তাঁর খাত্যি সর্ব মহলে।
তাঁর সৃষ্ট সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ” দিন বদলের কাগজ ” বদলে দেয় চুয়াডাঙ্গার সার্বিক প্রেক্ষাপট।
সে সময় দিল বদলের কাগজের অফিস সহকারী ও সাংবাদিক বজলুর রহমানকে জীবন্ত ইট ভাটার আগুনে ফেলে রক্তাক্ত জনপদের কতিপয় চরমপন্থী নির্মমভাবে হত্যা করলে। অসংখ্য আলোচিত নিউজ ছাপা হয়। দিন বদলের কাগজ চলে আসে লাইম লাইটে।।
এরপর ২০০১ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের এমপি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও এমপি সহোদর অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের অনুরোধ তিনি প্রকাশ করেন প্রতিদিনের খাসখবর। এরপর অনিবার্য কারণ বশতঃ তিনি খাসখবর ছেড়ে দেন।
এ সময় আমি সহ কবি নজমূল হেলাল, এড. মানিক আকবর ( আকবর আলী বুলেট), গোলাম কবীর মুকুল, রিচার্ড রহমান ( মোহাম্মদ গোলাম রহমান রিচার্ড), শাহ আলম সনি অনেকেই আমরা চলে আসি।
আর কিছু দিনের মধ্যেই জেড আলম ভাইয়ের সম্পাদনা ও প্রকাশনায় বাজারে আসে দৈনিক ” অন্যআলো “।
এরপর তিনি তৈরি করেন ” খোঁজখবর “।
এই বরেণ্য মানুষটির চাওয়া পাওয়া ছিলো খুবই সামান্য। শত কষ্টেও তাঁর মুখে হাসি লেগে থাকতো অমলিন।
মেজর জামিল হাসান পরিচালিত ” অপারেশন ক্লিন হার্ট ” এর সময় ছাড়াও এক সময়ের চরমপন্থীর আঁতুড়ঘর নামে খ্যাত রক্তাক্ত জনপদের নিউজ সংগ্রহ ও তৈরির ক্ষেত্রে অসংখ্য স্মৃতি।
এ লেখা যখন লিখছি তখন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে জানাচ্ছে শেষ শ্রদ্ধা।