২০ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম
সৈয়দপুরে গৃহবধুকে গণধর্ষন করে হত্যা পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা,গ্রেপ্তার ২। আজকের ক্রাইম-নিউজ

সৈয়দপুরে গৃহবধুকে গণধর্ষন করে হত্যা পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা,গ্রেপ্তার ২। আজকের ক্রাইম-নিউজ

মহিনুল ইসলাম সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী।।নীলফামারীর সৈয়দপুরের গৃহবধূ আকলিমা বেগমকে (২৫) ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে সিগারেটের ফয়েল পেপারের সূত্র ধরে।ওই গৃহবধূর মরদেহের সঙ্গে পাওয়া একটি সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে হত্যা রহস্য উম্মোচন হয়েছে।জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম-পিপিএম) শনিবার(২৮ আগস্ট)দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মৎস্য খামারের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে গত ২৩ আগস্ট সকালে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়।মরদেহের কোমরে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। ডার্বি সিগারেটের ফয়েল পেপারে ওই সুইসাইড নোটটিতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’।পরে পুলিশ জানতে পারে তার নাম আকলিমা বেগম (২৫)। তিনি কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর মেয়ে। প্রায় আট বছর আগে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হাবরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের (২৮) সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের রয়েছে এক ছেলে দুই মেয়ে। ছেলের বয়স ৬ বছর। এক মেয়ের বয়স ১৮ মাস, আরেক মেয়ের বয়স ২ মাস। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী শরিফুল ইসলাম সন্তানদের রেখে ঘটনার ১২ দিন আগে আকলিমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।এ অবস্থায় আকলিমা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বাবার বাড়িতেও পরিবারের লোকজন তাকে মেনে না নিয়ে গালমন্দ করে। এতে ক্ষোভে ও দুঃখে আকলিমা ২২ আগস্ট বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে কামারপুকুর মৎস্য খামার এলাকায় ঘুরতে থাকেন। সেখানে একই গ্রামের কাঙ্গালু পাড়ার আনারুল ইসলাম (৩৫), শুভ (২০) ও হৃদয় (১৮) তাকে ডেকে নিয়ে খাবার ও টাকা দিতে চাইলেও ওইগৃহবধু তাতে রাজি না হলে তারা তাকে জোরপুর্বক একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আকলিমা ঘটনার কথা প্রকাশের হুমকি দিলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় আনারুল নিজ হাতে সুইসাইড নোট লিখে আকলিমার কোমরে গুঁজে দেয়।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, নিহত আকলিমার মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে গত ২৩ আগস্ট নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলামকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা তার স্বামীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করি। এরপর সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে ওই এলাকায় ডার্বি সিগারেট পান করেন এমন ৫০ থেকে ৬০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করি। সুইসাইড নোটের লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখা মেলানোর চেষ্টা করি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করি। একপর্যায়ে আনারুল ইসলামের হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের লেখা মিলে যায়। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ঘটনায় তিনজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আমরা শুভকেও গ্রেপ্তার করি। তারা দু’জন গত শুক্রবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এ ঘটনায় জড়িত হৃদয়কেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।তিনি বলেন, আকলিমা বেগমের এমন পরিণতির জন্য তার স্বামী শরিফুল ইসলামকেও দায়ী করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় পেল না, ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় পেল না, বাইরের সমাজও তাকে জায়গা দিল না। যে কারণে তাকে ওই নির্মম পরিণতির শিকার হতে হলো।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজমিরুজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019