২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে : জাফরুল্লাহ।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে : জাফরুল্লাহ।

অনলাইন ডেস্ক

দেশের টোটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে প্লাজমা ও ব্লাড ডোনেশন সেন্টারে সদ্য করোনা মুক্ত হয়ে প্লাজমা ডোনেট করতে আসেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এসময় ডা. জাফরুল্লাহ দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় হাসপাতালের মাইক্রোবায়ালজি বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টর প্রধান গোলাম মোহাম্মদ কোরাইশি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক, প্রশিক্ষণ ও সনোলজিস্টি মোহাম্মদ শওকত আলী আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, রুমিন ফারহানা এখনো পুরো সুস্থ না, তবুও তিনি প্লাজমা দিতে এসেছেন। এটা চমৎকার ব্যাপার। আমরা গৌরব বোধ করছি রুমিন নিজ থেকে এটা করেছেন। আমরা তার সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি।

তিনি খুব সজাগ একজন নাগরিক যিনি জনগণের জন্য এতোটাই ভাবেন। রুমিন ফারহানা একটা চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমি চাই করোনা থেকে সুস্থ অন্য এমপিরাও প্লাজমা দানে এগিয়ে আসবেন। যারা করোনা আক্রান্ত নন তারাও নিয়মিত রক্তদানে এগিয়ে আসতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্লাজমা সংগ্রহ এখনো পর্যাপ্ত না।

তাই প্রতিটি করোনা আক্রান্ত মানুষকে প্লাজমা দানে এগিয়ে আসতে হবে। একজন মানুষের প্লাজমা দিয়ে ৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যায়।
রুমিন ফারহানা বলেন, করোনা লুকিয়ে রাখার বিষয় না। সে কারণে করোনা পজিটিভ জানার সাথে সাথে আমি ফেসবুকে সেটা জানিয়েছি। দেশের সব মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইয়েরা সেটা নিয়ে সংবাদ করে সবাইকে জানিয়েছেন। এতে আমার আমার প্রতিবেশী এবং আমার সাথে যাদের যোগাযোগ করার কথা তারা সতর্ক থাকতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার শুরু থেকেই আইসিইউ-ভেন্টিলেটর দূরেই থাকুক সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও নেই। প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে রোগীদের যদি আইসিইউ পর্যন্ত যেতে না হয়, বা রেমডিসিভির এর মত দামি ওষুধ নিতে না হয় তাহলে সেটাও অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।

আমি বিশ্বাস করি করোনা থেকে সেরে ওঠা প্রতিটা মানুষ যদি অন্য কোনো বড় অসুস্থতায় আক্রান্ত না থেকে থাকেন তাহলে প্লাজমা দেয়া তাদের কর্তব্য। আমি সেই কর্তব্যটিই পালন করতে এসেছি। আমার জেনে খুব ভালো লাগছে এই রক্ত দিয়ে ৫ জন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগী উপকৃত হবেন।

আমি আশা করি, করোনা থেকে সেরে ওঠা প্রতিটি মানুষ প্লাজমা দেবেন। এই ভয়ঙ্কর মহামারীর সময় সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি, তাই আমাদের সকলের উচিত নিজেদের পাশে দাঁড়ানো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019