২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দ্রুত পাওয়ার জন্য যে সোর্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে পাওয়া যাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা যদি সরাসরি অক্সফোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাও পারি তাহলে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে যোগাযোগ করতে হবে। টিকা কেনা বা দ্রুত পাওয়ার জন্য বাজেটে টাকাও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সুতরাং এক সোর্সের ওপর নির্ভর না করে একাধিক সোর্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি।
রাশিয়ার টিকা পাওয়ার জন্য সে দেশের সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আমরা কীভাবে সংগ্রহ করব এ জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে কীভাবে টিকা সংগ্রহ করা হবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। তাই আমার পক্ষে এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি টিকা সংগ্রহের জন্য একটি সোর্সের ওপর নির্ভর করলে এটা পাওয়া কঠিন হবে। সে জন্য যদি একাধিক সোর্স থেকে এ ভ্যাকসিন আমরা সংগ্রহ করতে পারি…।
আমি এরই মধ্যে দেখেছি যেসব দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করবে তাদের সঙ্গে অনেক দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, অগ্রিম টাকাও দিয়েছে। আমাদেরও এ ধরনের ব্যবস্থায় যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘টিকা সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা যদি সরাসরি অক্সফোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে নাও পারি, তাহলে অন্তত ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারি। মোদ্দা কথা হচ্ছে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সব সোর্সের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। যেখান থেকে আমার টিকা পাব সেখান থেকে নিতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইতিমধ্যে তাদের টিকা প্রয়োগ করেছে। তাই আমার মনে হয় রাশিয়ার টিকা দ্রুত বাজারে আসবে। রাশিয়া থেকে টিকা পাওয়ার জন্য তাদের সোর্সের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ করতে হবে
যারাই টিকা তৈরি করে তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে হবে। টিকা কেনার জন্য বাজেটে কিছু অর্থও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যাতে ভ্যাকসিন কেনা বা আগে পাওয়ার জন্য আমরা জরুরি প্রয়োজনে অর্থায়ন করতে পারি।