০৭ মে ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা বরিশালের সাবেক মেয়র কামালের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা বরিশালে সর্বজনীন পেনশন মেলা চুয়াডাঙ্গায় আদালতে মায়ের জবানে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যার দোষ স্বীকার ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান
ঝালকাঠিতে বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে মিছিল।

ঝালকাঠিতে বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে মিছিল।

ঝালকাঠী প্রতিনিধি :ঝালকাঠির রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বেহাত হওয়া ভূ-সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে মৌন মিছিল করেছে আন্দোলনকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে প্রতিবাদী এ মৌন মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক মানুষ মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে অংশ নেয়। মৌন মিছিলটি উপজেলা পরিষদে গিয়ে এসব অনিয়মের প্রতিবাদ জানায়। এ সময় বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান বক্তাগণ।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ্ আলম নান্নু, সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান মোল্লা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজনীন পাখি। বক্তারা বলেন, আমরা সবাই আন্দোলন করছি, বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া সম্পত্তি বিদ্যালয়কে উদ্ধার করে দিতে। বিদ্যালয়ের এক ইঞ্চি জমিও বেদখলে থাকা চলবে না। প্রয়োজনে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে আমরা প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত যাবো। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে যদি তৎপর না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

জানা গেছে, ১৯২৭ সালে ২ একর ৮৩ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি স্থানীয় মানুষের সহায়তায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় কখনো মার্কেটের নামে, কখনো ব্যাংকের নামে কিংবা অন্য কোনোভাবে জমি বেদখল হয়েছে। নামমাত্র টাকার ৯৯ বছরের লিজে বিদ্যালয়ের বিশাল সম্পত্তিজুড়ে মার্কেট উঠিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন অনেকে। কেউবা প্রভাব ও কৌশল খাটিয়ে বিদ্যালয়ের সম্পত্তির ওপর গড়ে ওঠা ভবন নিজ জিম্মায় রেখেছেন, আবার কেউ লিজের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে তা বিক্রি করে দিয়েছেন অন্যের কাছে।

আন্দোলনকারীরা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রায় ৯ একর ভূ-সম্পত্তি থাকা সত্যেও মাত্র ৬৭ শতাংশ জমিতে ৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের জমি কাগজে-কলমে আছে, দখলে নেই! কোলম মতি শিক্ষার্থীরা আজ বঞ্চিত লেখা পড়ার সুন্দর পরিবেশ হতে। প্রতিষ্ঠানটির এই বিপুল সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের। তারা সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সংকুচিত করে একটি কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের পিটি-প্যারেড করার জায়গাটুকুও নেই। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিভিন্ন সময় বেআইনিভাবে লিজ দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজোশে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রভাবশালী ওই মহলটি। তাই গত দুইমাস ধরে বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগেও মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মৌন মিছিল পালিত হয়।

এ বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া বেশকিছু সম্পত্তি ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য একটি জমি নিয়ে মামলা চলছে। গত দুই মাসে অবৈধভাবে নির্মিত তিনটি ভবন ভেঙ্গেফেলা হয়েছে।’বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সম্পত্তি লিজ দেওয়ার কোন বিধান নেই। বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে লিজ দেওয়া সম্পত্তিগুলো আইনি প্রকৃয়ার মাধ্যামে আমরা উদ্ধার করবো। বিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি উদ্ধার আন্দোলনের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে সহমত পোষণ করছি।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019