০৭ মে ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা বরিশালের সাবেক মেয়র কামালের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা বরিশালে সর্বজনীন পেনশন মেলা চুয়াডাঙ্গায় আদালতে মায়ের জবানে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যার দোষ স্বীকার ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান
এবার ধরা পড়লো আরেক ‘সাহেদ’, হাসপাতাল সিলগালা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

এবার ধরা পড়লো আরেক ‘সাহেদ’, হাসপাতাল সিলগালা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাখাওয়াত হোসেন সুমন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে দণ্ড এবং তার হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে র‍্যাব। এছাড়াও অন্যদেরও বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি টক শোতে অংশগ্রহণ, চিকিৎসায় অবদানের জন্য ক্রেস্ট, ছবিসহ বিভিন্ন কিছু থাকলেও চিকিৎসক হওয়ার সনদ বা কোনো প্রমাণ ছিল না। রোগীকে পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট দিতেন তিনি।

রবিবারের অভিযান বিষয়ে র‍্যাব জানায়, ওই হাসপাতালে কর্মরত ১২ ‘চিকিৎসকের’ বেতন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ রাজধানীর ডেমরা এলাকার সারলিয়ায় অবস্থিত ওই হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালায়।
এদিকে সম্প্রতি আলোচিত সাহেদ করিমের রিজেন্ট হাসপাতালেও অভিযান চালিয়ে তার সব শাখা সিলগালা করে র‍্যাব। সাহেদ করিমও ভুয়া পরিচয় দিতেন এবং টক শোতে অংশ নিতেন।

গণমাধ্যমকে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু জানান, এসএইচএস হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়েছে। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এটি পরিচালনা করতেন এর মালিক সাখাওয়াত হোসেন সুমন। আমরা তিনি রোগী দেখা অবস্থায় সেখানে অভিযান চালাই। অভিযানে তিনি আমাদের চিকিৎসা সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেননি। তবে তার চেম্বারে সিল, প্যাড, ভিজিটিং কার্ড এসব পাওয়া গেছে।

চিকিৎসায় অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্রেস্ট, টেলিভিশন টক শোতে অংশগ্রহণের সনদও রয়েছে তার।
তিনি জানান, সুমন নিজেকে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিত। রোগীদের বিভিন্ন নমুনার পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিত। এক বছর আগে তার হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেন সিলিন্ডার, কার্বন ডাই অক্সাইডের সিলিন্ডারকে অক্সিজেন সিলিন্ডারে রূপান্তরসহ নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে।

র‍্যাবের এ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তার হাসপাতালে ১২ জন চিকিৎসক আছেন জানালেও আসল চিকিৎসক মাত্র একজন। তাদের বেতনও ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছিল না। তখন তারা র‍্যাবে অভিযোগ দেন। এ ছাড়া তার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদন নেই এমন ওষুধ বিক্রি হচ্ছিল।

পলাশ বসু জানান, সাখাওয়াত হোসেন সুমনকে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদেরও বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরর কর্মকর্তা ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019