২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক::: পৃথক ঘটনায় নড়াইলের নড়াগাতি ও কালিয়ায় ২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলের জহিরুল মোল্যা (২৪) ও আসলাম গাজী (৪৪)।জানা গেছে, চাচিকে অনৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় নড়াইলের নড়াগাতি বাজারে কম্পিউটার দোকানি জহিরুল মোল্যাকে (২৪) পিটিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল নড়াগাতি গ্রামের আকুব্বর মোল্যা আকুর ছেলে।
নড়াগাতি থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, জহিরুল মোল্যার চাচিকে পাশের কামশিয়া এলাকার জাহিদ ও তার সহযোগী রেজওয়ান কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় জাহিদসহ তার সহযোগীরা জহিরুলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় জহিরুলকে তার দোকানের সামনে মাথায় কাঠ দিয়ে গুরুতর আঘাত করে। খুলনায় নেয়ার পথিমধ্যে জহিরুল মারা যান।
এদিকে নিহত জহিরুলের স্বজনেরা জানান, জাহিদ ও রেজওয়ান ছাড়াও নড়াগাতি এলাকার লস্কর ফিরোজ আহমেদ, তার ভাই জাফর ও মানিকসহ মোস্ত, ইলিয়াস ও ইকরাম লস্কর এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী (৪৪) নিহত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়। আসলাম ওই গ্রামের ইদ্রিস গাজীর ছেলে। এর আগে ওইদিনই সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার চালিতাতলা গ্রামের কাদের মোল্যা ও ইদ্রিস গাজী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্যের লড়াই চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার সকালে ওই গ্রামের খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় ইদ্রিস গাজী, তার ছেলে আসলাম গাজী ও রিফায়েত মোল্যাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহত আসলামকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
কালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকরাম হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসলাম গাজীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।