২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যা মামলার সাক্ষী যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমানকে (৪৬) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের পূর্ববারান্দি মোল্যাপাড়া আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রহমান ওই এলাকার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে।
আব্দুর রহমান শহর যুবলীগের বিদায়ী কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর যশোর এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পুরাতন টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন।
জমি নিয়ে বিরোধ এবং ওই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হওয়ায় তিনি হুমকির মুখে ছিলেন। নজরুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা তাকে খুন করেছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে আব্দুর রহমান পূর্ববারান্দি মোল্যাপাড়া আমতলা এলাকার রহিমের মুদি দোকানের সামনে গেলে মেটে কুদ্দুস, ফারুক, আকরাম, বাদল, নূরে আলম ও শাহ আলম দা ও শাবল দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাহার হোসেন স্বপন জানান, নিহত আব্দুর রহমান শহর যুবলীগের বিদায়ী কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহমান যশোর এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পুরাতন টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর যশোরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটন বাহিনীর সদস্যরা বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় রহমান সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে ছিলেন। এছাড়া একই এলাকার মেটে কুদ্দুসের সঙ্গে আব্দুর রহমানের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। মেটে কুদ্দুসও ওই সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য। এই বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা প্রায়ই রহমানকে হুমকি দিতো।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে আব্দুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে তিনি কোনো হত্যা মামলার সাক্ষী কি-না তা জানেন না ওসি।