০২ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ ও নেক্সট টুর অপারেটর এর মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম
৭ সাত শহীদের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক। আজকের ক্রাইম নিউজ

৭ সাত শহীদের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক। আজকের ক্রাইম নিউজ

বরগুনা প্রতিনিধি::মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্মম নিহত ৭ সাত শহীদের বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামের সাত শহীদের বধ্যভূমি শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের স পক্ষের মানুষদের প্রাণহানি হওয়ায় তাদের স্মৃতি চিহ্ন অরক্ষিত ছিল। আমি ইতোপুর্বে অনেক জায়গায় খোজ খবর নিয়েছি। পাথরঘাটা সপ্তার্ষি সংরক্ষণের জন্য আমি দায়িত্ব নিলাম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোকজনকে নির্বিচারে যেসব স্থানে হত্যা করেছিল, সেসব বধ্যভূমিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণে বধ্যপরিকর তিনি।

১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া শহীদ পরিবারের উপরে বর্বরোচিত পাক হানাদারের অত্যাচার ও গণহত্যার শিকার হয়। হত্যা শেষে একই জায়গায় সাত জনকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। সেদিন পাক হানাদার রাজাকার ও শান্তিকমিটির সহায়তায় গানবোট যোগে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুজতে এসে না পেয়ে ব্যাপারী বাড়ি, হাজরা বাড়ি, গাওয়ালী বাড়ি, বালা বাড়ি ও হাওলাদার বাড়ী, চারদিকে থেকে ঘেরাও করে সাতজন নিরীহ মানুষের চোখ বেধে পার্শ্ববর্তী হরের খালে নিয়ে এসে ব্রাস করে হত্যা করে এবং এদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা হলেন,চন্দ্র কান্ত হাজরা, অশ্বিনী কুমার বালা, লক্ষ্মিকান্ত গয়ালী, নিত্যানন্দ বেপারী, মনোরঞ্জন বেপারী, খিরিশ চন্দ্র বেপারী ও অনন্তু কুমার হালদার। সর্বশেষ পুড়িয়ে দেয় ঘরবাড়ি।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্মরনে ফারিলারা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্মান করা হয়েছিল স্মৃতিসৌধ। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত থাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ পুনরায় সংরক্ষণের জন্য দায়িত্ব নিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019