২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে দিনমজুরের বসতঘর ভস্মিভূত: খোলা আকাশের নীচে সপরিবারে মানবেতর জীবন! ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কৌশলী বিএনপির একাংশ ভোটের মাঠে, একাধিক প্রার্থী আ.লীগের বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ নলছিটিতে গৃহবধূর হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ গাইবান্ধায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় যুবক, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি ২৪ বছর কারাভোগ শেষে ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ওলিউল কাতারের সঙ্গে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার বোন সেলিনা ইসলাম

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার বোন সেলিনা ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক::বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার বোন সেলিনা ইসলাম। সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে সাক্ষাৎ শেষে তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল নেই।
আর সর্বোচ্চ আদালতে জামিন না পাওয়ার ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলেছেন খালেদা জিয়া। সুপ্রিমকোর্টে জামিন নামঞ্জুরের বিষয়ে খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বোন সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘এটা তো নজিরবিহীন।

আমাদের বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, এটা নজিরবিহীন, এরকম নজির দেখা যায় না। ওনার বয়স, ওনার অসুস্থতা- এসব বিষয়ে বিবেচনা করে জামিন হওয়া উচিত ছিল।
জামিন মানে ছেড়ে দেয়া না, জামিন মানে মুক্তি না। সে জামিনে থাকবে। জামিন তো দিতেই পারত। জামিন তো দিলেন না ওনারা। একই রকম মন্তব্য খালেদা জিয়ারও। নজিরবিহীন বলেছেন উনি।’

সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীর খুবই খারাপ। ওঠাবসা কিছুই করতে পারছে না। খেতে পারছে না। খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। পেটে ব্যথা হচ্ছে। এত অসুস্থ মানুষ, এত বয়স হয়ে গেছে তার। সে তো হাঁটাচলা করতে পারছে না, বসতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। সুগার ১২ এর নিচে কখনই আসে না। ১৪ থেকে ১৫ পর্যন্ত সব সময় থাকে। আজ ১৫ আছে। এই রকম অসুস্থতায় তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা তো বলেছিলাম। ওনারা জামিন তো দিলেন না। আমরা কী করব।’

বিএসএমএমইউতে বোনের ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ করে সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) পেটে ব্যথা হচ্ছে। ডাক্তার ওষুধ দিচ্ছে না। এখানে ঠিকমতো তার চিকিৎসা হচ্ছে না। এখানে কীভাবে সে বাঁচবে?’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দোয়া করতে বলেছেন দেশবাসীকে। এছাড়া আমাদের কী করার আছে?’

প্যারোল নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এরকম কোনো কথা হয়নি।’

বিকাল ৩টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে বন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান পরিবারের সদস্যরা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তারা সেখানে অবস্থান করেন।

পরিবারের সদস্যরা হলেন- খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তার ছেলে অভিক এস্কান্দার।

শনিবার পরিবারের সদস্যদের দেখা করার কথা ছিল। অনিবার্য কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সাক্ষাতের অনুমতি বাতিল করে। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।

১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউর ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019