২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠিতে জেলের নৌকায় লঞ্চের ধাক্কা নৌকা ভেঙে চুরমার দুই জেলেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, দামুড়হুদায় হিট স্ট্রোকে স্কুলের দপ্তরীর মৃত্যু প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি বৃহত্তর সিলেট জেলা অনলাইন প্রেক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা! সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা, যুবক আটক ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
বরিশাল পুলিশের উদ্যোগকে ঘিরে ষড়যন্ত্র একটি বিশেষ মহল

বরিশাল পুলিশের উদ্যোগকে ঘিরে ষড়যন্ত্র একটি বিশেষ মহল

নিউজ ডেস্ক:: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চলমান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ওপেন হাউজ ডে কর্মসূচি বিতর্কিত করতে একটি মহল বিশেষে অপতৎপরতা পুলিশ প্রশাসনকেই ভাবিয়ে তুলেছে। অনুষ্ঠানসমূহের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত জনপ্রতিনিধিদের নামে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ তুলে এই বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মাণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিডিয়াকে ব্যবহারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ কোতয়ালি মডেল থানায় গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে’তে আমন্ত্রিত কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারকে মাদক বিক্রেতা হিসেবে অভিহিত করে অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাখা নিয়ে কয়েকটি মিডিয়ায় নৈতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে।

পুলিশের অনুষ্ঠানে মাদক বিক্রেতা অতিথি কেন এমন প্রশ্নে পুলিশ প্রশাসন বিস্ময় প্রকাশ করেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, প্রকাশিত এই সংবাদের প্রতি তাদের দৃষ্টি নিবন্ধন হয়েছে। তাদের বিবেচনায় এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ দু:খজনক। উপরন্ত আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশের এই উদ্যোগ অন্তরায় সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে মনে করছে।

পুলিশের ভাষ্য- প্রতিটি ওপেন হাউজ ডে’তে এলাকা বিশেষ সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ হচ্ছে তাদের মাধ্যমে জনগণের মাঝে পুলিশের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া। অবশ্যই এই ধরনের অতিথিদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তদন্ত করেই আমন্ত্রণের তালিকায় রাখা হয়। ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আ’লীগ নেতা বাহারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে অতীত জীবনে বাহার কী ছিলেন মুখ্য নয়, বিবেচ্চ্য বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়কালে বাহারের বিরুদ্ধে সমাজ বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন অভিযোগ রয়েছে কী না। কিন্তু কোন একটি মহল বাহারের তরুণ জীবনের ইতিহাস এখন সামনে টেনে এনে ওই ওপেন হাউজ ডে’তে তাকে অতিথি করার যৌক্তিকতা মিলাতে চাইছে। পুলিশের ধারণা সম্ভবত অতিথি করা নিয়ে স্থানীয় কোন মহল নাখোস হওয়ায় তারাই এই ধরনের অপপ্রচারে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে। পাশাপাশি পুলিশের আয়োজনকে বিতর্কিত করে ভিন্ন কোন উদ্দেশ হাসিলের পরিকল্পনা রয়েছে কী না সেটাও ভাবনার বিষয়।

এ প্রসঙ্গে বাহারের পক্ষ থেকেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরও একই ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন- রাজনীতির আভ্যন্তরীণ বিরোধ অথবা অতিথি হিসেবে কেউ বঞ্চিত হওয়ায় তারাই এ ধরনের হীনতৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন- সমসাময়িককালে তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তার অকট্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে তিনি আইনে আওতায় যেকোন শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে ইতিপুর্বে রাজনৈতিক আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে শায়েস্তা করার বেশ কয়েকটি ঘটনাকে এখন সামনে টেনে এনে নয়া ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এমনটি ইঙ্গিত করেন। অথচ আইন আদালতে তিনি নির্দোষ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিলেন। বাহারের মুল সন্দেহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অপর কোন এক প্রার্থী ষড়যন্ত্র উসকে দিতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে।

গতকাল ওপেন হাউজ ডে আয়োজন শেষের পরপরই কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় বাহারকে নিয়ে সমালোচনা এবং পুলিশের উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ করে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদ্দুর জানা গেছে- এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার এই উদ্যোগ পুলিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। কারা কী উদ্দেশে এই তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত তা তদন্তে গুরুত্বরোপ করে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বলে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019