২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ রাত ১টার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি সংকেত পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ রেকর্ড,হিট ওয়েভের সতর্কবার্তা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি গাড়ি-বাড়ি নিয়ে শো-অফ, ভুয়া ভিসা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি মামুন বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন
বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

মৃধা জুয়েল
ভুমিকা:আমি নুসরাত জাহান সুমি,
মূলগল্প:
আমি একেবারেই নতুন ও ছোট আকারের একজন নারী উদ্যোক্তা, আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন মেয়ে, আমরা দুই ভাই বোন,আমার বাবা সামান্য চাকুরি করেন।ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবো,
কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা বেশি ভাল না থাকায় ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যায় এবং লেখা পড়া ওখনেই শেষ হয়ে যায়।কিন্তু স্বপ্নটাতো আজও শেষ হয়নি। আমার শশুর বাড়িতে থেকে অনেক চেষ্টা করেছি আমার লেখাপড়া শুরু করার, কিন্তু আমি ব্যর্থ হই।তবে আশা ছারিনি,আমার স্বামির সাথে সংসার জীবন বেশ ভালো এবং আনন্দে কাটছিল,এর মধ্যে আমার ঘরে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, আমার ছোট ছেলে হবার পরে আমার স্বামি নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং আমার সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়ে যায়।২০০৮ সালে আমি সখের কারনে সেলাই কাজ শিখেছিলাম, এখন এই সেলাই কাজটাকেই আমার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিলাম,আমার কাজ এবং আয় দুটোই বারতে চলেছে এবং পাশাপাশি আমার স্বামির নেশাও বারছে,
টাকার জন্য আমার উপরে প্রেশার করা শুরু করছে, বাবার বাড়ি থেকে আমি প্রতিনিয়ত টাকা আনতে শুরু করলাম,এরপর ওর অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়ে যায়,নেশা করে আমার উপরে শারিরীক নির্যাতন শুরু করে,এমন কি হাতের কাছে ধারালো কিছু পেলে নিজেকেও আঘাত করে,এ অবস্থায় আমি অসহায় হয়ে পরি,আমার বাবাও আমাকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়,তখন আমি একেবারেই নিরুপায়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি আমার বাবার বাড়িতে এসে উঠলাম,তখন আমাদের এখানে একটি দাতা সংস্থা আছে যার নাম ”ওয়েভ ফাউন্ডেশন”
ওখান থেকে একটি ভোকেশনাল ট্রনিং গ্রহন করি এবং ঐ সংস্থার মাধ্যমে একটি চাকুরি পাই মাত্র ৫০০০/টাকা বেতনে ওখানে কিছুদিন চাকুরি করি, তারপরে দেখলাম চাকুরি করা অনেক কষ্টকর,ভেবে দেখলাম আমি নিজেই তো বেশ কিছু হাতের কাজ শিখেছি তাহলে আমি কেন ব্যাবসা করতে পারবো না ?
ইতি মধ্যে আমি আমার চাকুরির প্রতিষ্ঠানে গার্মেন্টস এর মেশিন গুলাও চালাতে শিখেছি,কিন্তু আমার কাছে কোন মুলধন ছিলনা,তখন আমি আবার ঐ
“ওয়েভ ফাউন্ডেশনের” সহায়তায় একটি উদ্দোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহন করি।
তার পরে ওনারা আমাকে ২৫,০০০/
টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করে,এবং গ্রামিন ব্যংক থেকে ৩০,০০০/টাকা লোন নিয়ে মোট ৫৫,০০০টাকা দিয়ে আমার ব্যাবসা শুরু করলাম,ব্যাবসা শুরু করার পর পারিবারিক ও সামাজিক বাধা আসে প্রচুর কিন্তু আমি পিছিয়ে যাইনি, এমনকি বড় বড় নেতারাও আমার ব্যাবসার সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়,তবুও মনে সাহশ নিয়ে এগিয়ে চলেছি, এখন আমার প্রতিষ্ঠানে মোট ৭ জন বেতন ভুক্ত ছেলে মেয়ে কাজ করে।এবং আমার তৈরি পোশাক বেশ কিছু সংখক দোকানে পাইকারি বিক্রি করছি।
উপসংহার:
আমি আমার জীবন থেকে অনুভব করতে পেরেছি যে বেকারত্ব একটা অসুখ,তাই কাজ করা সুরু করেছি
যদিও অনেক ছোট আকারে, তবে স্বপ্ন অনেক বড়,আর এই স্বপ্ন পুরনের জন্য গড়ে তুলেছি “স্বপ্ন সিঁড়ি” নামে নারী কল্যাণ সমিতি ও স্বপ্নসিরি গার্মেন্টস,লেডিস ফ্যাশন পয়েন্টস্, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল,এখানে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ও রুচিসম্মত ডিজাইনের পোশাক তৈরি করি সম্পুর্ণ নিজের হাতে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019