২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জলিলু রহমান,তালতলী প্রতিনিধি :
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের পায়রা, বিশখালী,বলেশ্বর যেখানে মিলছে তিন নদীর মোহনায় স্নিগ্ধ বেলাভূমি ‘শুভ সন্ধ্যার’ বিস্তীর্ণ বালুচরে আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম বারের মত দেশের সবচেয়ে বড় জোছনা উৎসব।এ উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বরগুনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এ উৎসবে যোগ করা হয়েছে নানা আয়োজন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,শুভ সন্ধ্যার’বেলাভূমিতে একদিকে সাগরের সীমাহীন জলরাশি।আরেক দিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। দীর্ঘ ঝাউবন, আরেক দিকে তিন তিনটি বিশাল নদীর জলমোহনা। সবমিলিয়ে নদ-নদী আর বন-বনানীর এক অপরূপ সমাহার।এই উৎসব কে ঘিরে ইতি মধ্যে কাজ প্রায় সম্পুর্ন হয়েছে।এবারের জোছনা উৎসবে জোছনাবিলাসী একাকার হবে জোছনা প্রেমিকরা
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের জোছনা উৎসবে বরগুনা থেকে চারটি দোতলা লঞ্চ সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বরগুনার খাগদোন নদী হয়ে বাইনচটকীর স্নিগ্ধ বনভূমির পাশ দিয়ে কুমীরমারা আর গোড়াপদ্মার নয়নাভিরাম বন-বনানীর কোল ঘেঁষে বিকেল পাঁচটার দিকে লঞ্চ পোঁছবে শুভসন্ধ্যার চরে। এরপর সেই স্নিগ্ধ বালুচরে শেষ বিকেলের ঘোরাঘুরির পর রাতভর জোছনার গান, রাখাইন নৃত্য, বাউল সঙ্গীত, মোহনীয় বাঁশির সুর, যাদু প্রদর্শনী, পুঁথিপাঠ মিনি যাত্রা এবং কবিতা আবৃত্তির সাথে সাথে জল-জোছনায় অবগাহন হবে সবার। শুভ সন্ধ্যা সৈকতে শুরু হয়েছে বাহারি পণ্যের পসরা সাজানোর প্রস্তুতি এবং জোছনা উৎসবে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ রাজধানী ঢাকা এবং দেশ বিদেশের প্রায় ত্রিশ হাজার পর্যটক ভিড় জমাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।শীতের হিম হাওয়ার এই উৎসবে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুদের নিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি নারী ও পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে। মূল স্টেজের পেছনেই থাকছে নারীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। স্টেজ থেকে একটু দক্ষিণে ঝাউবন ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে নারী ও শিশুদের জন্য বিশ্রামাগার।চাঁদনী রাতে তিন নদীর জলমোহনায় ছোট ছোট ট্রলার ভাড়া করে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর জন্য থাকছে ভাড়ায় চালিত ট্রলারের সুব্যবস্থা এবং র্যাব ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্হা থাকবে।