২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক::সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তপন মল্লিক (৩১)।
অপরদিকে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আটক শিক্ষক তপনের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। শনিবার সকালে বিষয়টি গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কৌশলে স্কুল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। আটক তপন মল্লিক উপজেলার কালবিলা গ্রামের বাসিন্দা ও সাতলা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রজেন্দ্র নাথ মল্লিকের পুত্র এবং শোলক কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শনিবার সকালে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক তপন মল্লিক গত বৃহস্পতিবার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকায় বসে স্থানীয়রা সন্দেহবশত তাদের আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
অপরদিকে একইদিন (বৃহস্পতিবার) উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের পীরেরপাড় গ্রামের বিধান সমদ্দারের অনার্স পড়ুয়া কন্যা যুথিকা সমদ্দার স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে কালবিলা গ্রামে শিক্ষক তপন মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছে। যুথিকা জানান, গত ২ মার্চ বরিশাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পাদন করা হয়।
তবে কিছুদিন ধরে তপন মল্লিক যোগাযোগ না রাখায় তিনি (যুথিকা) তপনের বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তপন মল্লিক ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলার ভরতসেন এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন। এরপর হারতা এলাকার শুকলাল হালদারের কন্যাকে হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করে কিছুদিন যেতে না যেতেই তাকে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে তপন মল্লিকের বাবা ব্রজেন্দ্র নাথ মল্লিক বলেন, আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। কেউ হয়ত তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণেই তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএসএম নাসিম জানান, তপন মল্লিক এবং ওই ছাত্রীকে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।