০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জলিলুর রহমান স্টাব রিপোর্টে :বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এ উপলক্ষে বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ৩৪১টি সাইক্লোন সেন্টার শেল্টারসহ যেখানে ৫লক্ষ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ইতিমধ্যেই ৮টি জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৪২টি মেডিক্যাল টিম ও ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও প্রস্তুত করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মেস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে ট্রলারগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েক শ ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে। বেড়িবাঁধের বাইরের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার দুপুর থেকে দমকা/ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যানাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, বরগুনা থেকে সকল রুটের নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশীর ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে যারা ছিলো, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে।
উল্লেখ্য শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবক ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।