১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের কাছে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
ভোট গণনা শেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিটির প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিটির দুই সদস্য পীরজাদা হারুন ও বিএইচ নিশানও ছিলেন।
১৮টি পদের সবগুলোতেই মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদস্যরা বিজয়ী হন। তাদের বিপরীতে সভাপতি পদে মৌসুমী ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরসহ চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮৪ ভোট পেয়ে জায়েদ খান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা পেয়েছেন ৬৮ ভোট।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে শুধু একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান। এর বাইরে অন্যরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছেন।
নির্বাচনে জয়ী অন্যরা হলেন- সহসভাপতি ডিপজল ও রুবেল, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ইমন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক, জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ।
এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, রোজিনা, জেসমিন, জয় চৌধুরী, বাপ্পারাজ, মারুফ আকিব ও নাসরিন।
ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, নির্বাচিত এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদি নির্বাচনে তিন পদে বিনা বাধায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর ও কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ। বাকি নির্বাচনে ১৮ পদে লড়েছেন ২৭ জন শিল্পী। এবারের নির্বাচনে ৪৪৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মিশা সওদাগর বলেন, ‘শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। তবে জয়ের ব্যাপারে ৮০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম। এটাই আমার জীবনের সেরা প্যানেল। সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসির সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গতকাল সকাল নয়টা থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকাল প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ভোটের আগ থেকে উত্তাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে।