০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশে পরিণত করা হচ্ছে। পুলিশের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়েই পুলিশ কাজ করছে। আমরা জনগণের বন্ধু হতে চাই, জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এ দেশকে সবার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা। দেশকে সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশে পরিণত করা।
আইজিপি ১০ অক্টোবর ২০১৯ খ্রি. বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী ‘ছোটরা বলবে, বড়রা শুনবেন’ শীর্ষক ‘আমার কথা শোনো’ অনুষ্ঠানে ‘পুলিশ আমার বন্ধু’ বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
শিশুরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে শিশু পাচার, ছেলে ধরা আতংক, পুলিশকে কিভাবে বন্ধু ভাবা যায়, ফুটওভার ব্রিজ, শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করানো, শিশু হত্যা,যানজট ইত্যাদি বিষয় আইজিপির কাছে জানতে চায়। আইজিপি ধৈর্য ধরে গভীর মনোযোগের সাথে শিশুদের প্রতিটি প্রশ্ন শোনেন এবং তাদের উপযোগী করে জবাব দেন।
শিশু হত্যার মতো ঘটনায় পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, যে কোনো হত্যাই জঘন্য অপরাধ। শুধু শিশু হত্যা নয়, বাংলাদেশ পুলিশ যে কোনো হত্যার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা বিধান করে থাকে। পুলিশকে কিভাবে বন্ধু হিসেবে পাওয়া যায় অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তোমরা যদি কখনো পথ হারিয়ে ফেলো, অথবা হারিয়ে যাও বা কোনো বিপদে পড়ো তাহলে আশেপাশে পুলিশকে খুঁজবে। পুলিশ তোমাদেরকে সাহায্য করবে। পুলিশ সবসময়ই তোমাদের একজন কাছের মানুষ, একজন কাছের বন্ধু। তোমরা পুলিশের সাহায্যের জন্য ৯৯৯ নম্বরেও টেলিফোন করতে পারো। তিনি কখনো কোনো অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার, চকলেট, পানীয় ইত্যাদি গ্রহণ না করার জন্য শিশুদের পরামর্শ দেন। কাউকে সন্দেহ হলে আশেপাশের পুলিশকে জানানোর উপদেশ দেন আইজিপি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুরা নাচ ও গান পরিবেশন করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।