২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া ১১১৩ ফেসের কয়লা শেষ, উৎপাদন বন্ধ

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া ১১১৩ ফেসের কয়লা শেষ, উৎপাদন বন্ধ

শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। এই ফেসে কয়লা মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আজ বুধবার খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিসিএমসিএল এর ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত আছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখা সম্ভব হবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, মজুত শেষ হওয়ায় ওই ফেস এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আবারও নতুন একটি ফেস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হবে। তবে, এসময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট কয়লা মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তাপ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ওভার হোলিং এর কারণে দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে আছে। কয়লা স্বল্পতার কারণে ২০১৯ সাল থেকে এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।তবে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু রাখতে গেলে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019