২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বরিশাল সিটির ২৬১ সিসি ক্যামেরা অচল, বিপাকে পুলিশ

বরিশাল সিটির ২৬১ সিসি ক্যামেরা অচল, বিপাকে পুলিশ

আজকের ক্রাইম ডেক্স : ৭ বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে আড়াই কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে বসানো বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৬১টি সিসি ক্যামেরা।

আর তদারকির জন্য স্থাপন করা ৮টি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রর মধ্যে মাত্র ২টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও তাতে নেই যন্ত্রপাতি। পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় তাদের। তবে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান প্যানেল মেয়র।

বরিশালে অপরাধ দমনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৬১টি সিসি ক্যামেরা বসায় সিটি করপোরেশন। তবে বর্তমানে এসব ক্যামেরার সবগুলোই অচল ও পরিত্যক্ত। তদারকির জন্য স্থাপন করা ৮টি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রর মধ্যে মাত্র ২টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও তাতেও নেই যন্ত্রপাতি।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল তৎকালীন মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে আনুষ্ঠানিক সিসি ক্যামেরাগুলোর উদ্বোধন করেন।

এর তিন মাসের মাথায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়ে সিসি ক্যামেরাগুলো। এরপর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ক্যামেরাগুলো সচল বা পুনঃস্থাপন করেনি সিটি করপোরেশন।

সিসি ক্যামেরাগুলো তদারকি না করায় ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নগরবাসীর। আসাদ নামে একজন বলেন, ‘আমরা সবসময় চাই শহর নিরাপদ থাকুক। কিন্তু সিসি ক্যামেরা অচল থাকায় প্রায়ই আমাদের দুশ্চিন্তা হয়। আমাদের দাবি দ্রুত সিসি ক্যামেরা গুলো সচল করা হোক।’

কাওছার নামে আরেকজন বলেন, ‘বাসার মেয়েদের নিয়ে প্রায়ই টেনশনে থাকতে হয়। তারা একা বের হলে টেনশন আরও বেড়ে যায়। সিটি করপোরেশনের সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে এই টেনশন হতো না। আমরা চাই দ্রুত এসব ক্যামেরা সচল হোক।’

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ক্যামেরাগুলো অচল থাকায় প্রায়ই আমাদের বিপাকে পড়তে হয়। সিসি ক্যামরা সচল না থাকায় তদন্ত কাজে বিলম্ব হয়। তাছাড়া অপরাধী চক্রের গতিবিধি শনাক্ত করার ক্ষেত্রেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’

এদিকে সিটি করপোরেশনের সিসি ক্যামেরার বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দেয়া হলে তার তদন্ত শুরু হয়। তবে এ তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা জানে না খোদ করপোরেশনও।

তবে নতুন পরিষদের হাত ধরে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু। পুলিশের তথ্য মতে, মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন বাড়ি অথবা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানো আছে ৩ হাজারের বেশি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019