২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজ

ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজ

অনলাইন ডেস্ক

ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজ। এ ছাড়া প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

এসব বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন) সংশোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজ। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে। এখন এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজের ক্ষমতা দিতে পারবে সরকার। এ ছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।

বিদ্যমান আইনে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।

বৃহস্পতিবার বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বিষয়ে ভূমিমন্ত্রীকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে অভিযোগ এসেছে, যা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, জেলায় জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের যে সেকশন আছে সেখানে বড় দুর্নীতির ঘটনাগুলো ঘটে। সরকার অনেক উন্নয়ন করছে। এজন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। সেখানে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘অতি সম্প্রতি ৫ জুলাই পত্রিকা যদি দেখেন, মানিকগঞ্জে সরকারি প্রকল্পে অধিগ্রহণের আগেই জমি কিনে নেন মন্ত্রী ও তার ছেলেমেয়ে। জমি অধিগ্রহণের সময় শতকোটি টাকা বাড়তি নিতে প্রকল্প পাসের আগেই জমি ক্রয় এবং কৌশলে দলিল মূল্য বৃদ্ধি। প্রকল্পটি হচ্ছে সরকারি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এসেন্সিয়াল ড্রাগসের মানিকগঞ্জে কারখানা স্থাপন। সেখানে দুঃখজনক আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সংবাদপত্রে, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভূমি ক্রয় করেছেন ৬.৩৯ একর, ছেলে কেনেন ৩.১২ একর, মেয়ে কেনেন ১১.১৪ একর, আরেক ফুফাত ভাই কেনেন ৫.৫৪ একর।’

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, এর আগে কক্সবাজারেও ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়কে দুর্নীতির হাট বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। খবরে প্রকাশ হয়েছিল, সেখানে ১৫ শতাংশ কমিশন নেওয়া হয়েছে।

ভূমিমন্ত্রীকে এসব দুর্নীতির বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, ভূমিমন্ত্রী অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। সেখানে এ সব দুর্নীতি ও লজ্জাজনক ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে ভূমিমন্ত্রী দৃষ্টি দেবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে জেলার যুগ্ম জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হওয়ায় জনগণের বিচারপ্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে এবং যথাসময়ে জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019