২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বাবুগঞ্জে স্বামী কে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা

বাবুগঞ্জে স্বামী কে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে স্বামী কে ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকি পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে হুমকি দেয়ায় স্বামী এখন বাড়ি ছাড়া। উপায়ান্তর না পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী।

এ ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রাজগুরু (নতুনচর) গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে রাজগুরু গ্রামের শাহজাহান বেপারীর মেয়ে মোসাঃ নাছিমার সাথে একই গ্রামের আঃ আজিজ মৃধার ছেলে নূর হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পরে নূর হোসেন ও নাছিমার দাম্পত্য জীবন ভালো ভাবেই চলছিল। তাদের পরিবারে ১৫ এবং ৯ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নূর হোসেন ছেলে সন্তান ও পরিবার নিয়ে ঢাকাতে বসবাস করতেন। গত দুই বছর আগে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজগুরু (নতুনচর) এলাকায় চলে আসেন এবং কয়েক শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে ঘর নির্মান করেন।

জীবন জীবিকার জন্য নূর হোসেন ঢাকাতে চাকরি করলেও তার স্ত্রী ও সন্তানরা গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। নূর হোসেন বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকার মোঃ মতলেব হাওলাদার এর ছেলে কাওছার হাওলাদার সাথে। কাওছার ও নাছিমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ককে স্থায়ী সম্পর্কে রুপ দিতে শুরু হয় নতুন পরিকল্পনা। আর সে জন্যই পরকীয়া প্রেমিক কাওছার তার প্রেমিকা নাছিমা বেগম কে দিয়ে ডিভোর্স দেওয়ায় স্বামী নূর হোসেনকে। নাছিমা বেগম গত মে মাসে তার স্বামী নূর হোসেন কে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্স দিয়েও ক্ষান্ত হননি নাছিমা বেগম। তিনি তার পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে স্বামী নূর হোসেন কে হুমকি প্রদান করে আসছেন এবং নূর হোসেন কে বাড়ি থেকে তাড়ানোর পায়তারা করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন নূর হোসেন।

ভুক্তভোগী স্বামী নূর হোসেন বলেন, আমাকে ছোট রেখেই আমার মা মারা যায়। পরে আমার বাবা ও ভাইয়েরা ঢাকা চলে যায় আর আমাকে আমার মামা শাহজাহান বেপারীর বাড়িতে রেখে যায়। পরে আমি মামার বাড়িতেই বড় হই। বড় হওয়ার পরে আমার পরিবার ও আমার মামার পরিবারের সিদ্ধান্তে আমার মামা শাহজাহান বেপারীর মেয়ে মোসাঃ নাছিমার সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক বছর পর থেকেই আমার স্ত্রী নাছিমা বেগম এবং তার ফুফাতো ভাই কাওছার এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে বহুবার আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের জানিয়েছি। তারাও কোন সমাধান করতে পারতেছে না। কারো কথাই আমার স্ত্রী শুনে না। তারই ধারাবাহিকতায় গত মাসে আমার স্ত্রী তার প্রেমিক কাওছার এর মাধ্যমে আমাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেয়। এমনকি কাওছার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি আমার স্ত্রী এবং তার প্রেমিক এর ভয়ে এখন বাড়িতে যেতে পারছি না। এমনকি আমার স্ত্রী আমার টাকায় তৈরি করা ঘর এখন তার দাবি করছে। আমি এখন নিরুপায়। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

নাছিমা বেগম বলেন, কাওছার আমার আত্নীয় হয় কিন্তু সে আমার বাড়ি আসে না। এমনকি তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী আমার ও সন্তানদের খোঁজ খবর নেয় না। তাই আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।

নাছিমা বেগমের বাবা শাহজাহান বেপারী বলেন, আমার জামাই নূর হোসেন এর কোন দোষ নেই। ও অনেক ভালো ছেলে। ও ঠিক মতো খরচ দেয় এবং খোঁজ খবর নেয়। আমি আমার মেয়েকে অনেকবার বুঝাইছি কিন্তু আমার মেয়ে কারো কোন কথাই শুনে না।
পরকীয়া প্রেমিক মোঃ কাওছার হাওলাদার নাছিমা বেগম কে চিনেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক জানান, নূর হোসেন তার পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছেন। আমি ও নারী ইউপি সদস্যা রহিমা বেগম, নূর হোসেন এর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে কথা হয়েছে। তাদেরকে দুইদিন সময় দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই তারা একটা সুন্দর সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019