২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে স্ত্রী সায়মা পারভীনকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনুর বিরুদ্ধে।
হত্যা পর স্বামী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আলী ইমাম খান অনু (৩০) থানায় আত্মসমর্পন করেছেন। মো. আলী ইমাম খান অনু শহরের ফকির বাড়ি সড়কের মো. দিলদার হোসেন খান এর ছেলে।
সোমবার সকালে ঝালকাঠি শহরতলির ইকোপার্কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সায়মা পারভীন শহরের ফকির বাড়ি সড়কের শাহাদাৎ তালুকদারের মেয়ে এবং ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমের সমর্কের পরে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর আলী ইমাম খান অনু কলেজ ছাত্রী সায়মা পারভীনকে বিয়ে করে। বিয়ের বিষয়টি দুই পরিবার জানত না এবং উভয়ে আলাদা থাকত।
বিবাহের তিন মাস পর থেকে স্ত্রী সায়মা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। এ বিষয়ে স্বামী অনু একাধিক বার নিষেধ করা সত্যেও স্ত্রী সায়মা কথা শুনেনি। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ইকোপার্কে সায়মাকে ডেকে আনে। ঘটনাস্থলে সায়মা উপস্থিত হলে স্বামীর সাথে পরকীয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনু তার প্যান্টের পকেটে থাকা ছুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে তার অপরাধের কথা জানান। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে মো. আলী ইমাম খান অনু ঝালকাঠি সদর থানায় এসে আত্মসর্মপন করে হত্যার দায় স্বীকার করে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। ঘাতক স্বামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।