২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা চলছে, তা দূর করে এটিকে আরও ভালো করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেখানেই আমরা থাকতে চাই।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে আজ আলোচনার কথা ছিল। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল আবার বসব। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনটিতে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা অনেকটা দূর করা হয়েছে। তারপরও যেসব জায়গায় পরিবর্তন দরকার, তা ঠিক করা হবে।
সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে কথা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সেটি এরই মধ্যে বলবৎ আছে। আইনটির যেসব উদ্বেগের জায়গা নিয়ে কথা বলার ছিল, সেটি আমরা করেছি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া। এটি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। তবে সময়স্বল্পতার কারণে হয়নি।
তিনি জানান, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন একটি খসড়া হয়েছে। যেটি আজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের হাতে কপি এসেছে। আমরা আইনমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়েছি আগামী ৬ এপ্রিল এ আইন নিয়ে আলোচনা করব। খসড়াটি নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে।
তিনি বলেন, নতুন খসড়াটি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। খসড়াটি পর্যালোচনা করার সুযোগ সরকার আমাদের দিয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ জনগণের একটি বড় অংশের উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনমন্ত্রীও আলোচনা প্রসঙ্গে এ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সরকার এ বিষয়ে অবহিত আছে। সার্বিকভাবে নাগরিক সমাজের অবস্থান হলো, আইনটি বাতিল করা দরকার। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ সচিব মইনুল কবির, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ। নাগরিক সমাজের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, শারমিন খান প্রমুখ।