২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
একজন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস সচিব ও অপরজন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে পরিচয় দিতেন। কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের তালিকায় নিশ্চিত নাম থাকবে বলে আশ্বাস দিয়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল একটি চক্র। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ পেয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মেরাজুল ইসলাম ওরফে লায়ন মেরাজ এবং জামান খন্দকার ওরফে আলীমুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টেবল পদে কুমিল্লায় ২০৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার নাতি ফাহিমকে কনস্টেবল পদে নিয়োগের চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস সচিব পরিচয় দিয়ে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় এলাকার মেরাজুল ইসলাম ও কুমিল্লার পুলিশ সুপার পরিচয়ে জামান খন্দকার ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কয়েক দফায় বিকাশের মাধ্যমে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে নাম না দেখে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, প্রতারণার বিষয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তি হলেন মাদারীপুর সদর থানার রায়েরকান্দি গ্রামের রিপন ফকির।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, গ্রেপ্তার ভুয়া সচিব মেরাজুল ইসলাম একটি প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং ভুয়া পুলিশ সুপার জামান খন্দকার একটি চাঁদাবাজি মামলার পলাতক আসামি।