২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

মৃধা জুয়েল
ভুমিকা:আমি নুসরাত জাহান সুমি,
মূলগল্প:
আমি একেবারেই নতুন ও ছোট আকারের একজন নারী উদ্যোক্তা, আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন মেয়ে, আমরা দুই ভাই বোন,আমার বাবা সামান্য চাকুরি করেন।ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবো,
কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা বেশি ভাল না থাকায় ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যায় এবং লেখা পড়া ওখনেই শেষ হয়ে যায়।কিন্তু স্বপ্নটাতো আজও শেষ হয়নি। আমার শশুর বাড়িতে থেকে অনেক চেষ্টা করেছি আমার লেখাপড়া শুরু করার, কিন্তু আমি ব্যর্থ হই।তবে আশা ছারিনি,আমার স্বামির সাথে সংসার জীবন বেশ ভালো এবং আনন্দে কাটছিল,এর মধ্যে আমার ঘরে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, আমার ছোট ছেলে হবার পরে আমার স্বামি নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং আমার সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়ে যায়।২০০৮ সালে আমি সখের কারনে সেলাই কাজ শিখেছিলাম, এখন এই সেলাই কাজটাকেই আমার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিলাম,আমার কাজ এবং আয় দুটোই বারতে চলেছে এবং পাশাপাশি আমার স্বামির নেশাও বারছে,
টাকার জন্য আমার উপরে প্রেশার করা শুরু করছে, বাবার বাড়ি থেকে আমি প্রতিনিয়ত টাকা আনতে শুরু করলাম,এরপর ওর অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়ে যায়,নেশা করে আমার উপরে শারিরীক নির্যাতন শুরু করে,এমন কি হাতের কাছে ধারালো কিছু পেলে নিজেকেও আঘাত করে,এ অবস্থায় আমি অসহায় হয়ে পরি,আমার বাবাও আমাকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়,তখন আমি একেবারেই নিরুপায়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি আমার বাবার বাড়িতে এসে উঠলাম,তখন আমাদের এখানে একটি দাতা সংস্থা আছে যার নাম ”ওয়েভ ফাউন্ডেশন”
ওখান থেকে একটি ভোকেশনাল ট্রনিং গ্রহন করি এবং ঐ সংস্থার মাধ্যমে একটি চাকুরি পাই মাত্র ৫০০০/টাকা বেতনে ওখানে কিছুদিন চাকুরি করি, তারপরে দেখলাম চাকুরি করা অনেক কষ্টকর,ভেবে দেখলাম আমি নিজেই তো বেশ কিছু হাতের কাজ শিখেছি তাহলে আমি কেন ব্যাবসা করতে পারবো না ?
ইতি মধ্যে আমি আমার চাকুরির প্রতিষ্ঠানে গার্মেন্টস এর মেশিন গুলাও চালাতে শিখেছি,কিন্তু আমার কাছে কোন মুলধন ছিলনা,তখন আমি আবার ঐ
“ওয়েভ ফাউন্ডেশনের” সহায়তায় একটি উদ্দোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহন করি।
তার পরে ওনারা আমাকে ২৫,০০০/
টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করে,এবং গ্রামিন ব্যংক থেকে ৩০,০০০/টাকা লোন নিয়ে মোট ৫৫,০০০টাকা দিয়ে আমার ব্যাবসা শুরু করলাম,ব্যাবসা শুরু করার পর পারিবারিক ও সামাজিক বাধা আসে প্রচুর কিন্তু আমি পিছিয়ে যাইনি, এমনকি বড় বড় নেতারাও আমার ব্যাবসার সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়,তবুও মনে সাহশ নিয়ে এগিয়ে চলেছি, এখন আমার প্রতিষ্ঠানে মোট ৭ জন বেতন ভুক্ত ছেলে মেয়ে কাজ করে।এবং আমার তৈরি পোশাক বেশ কিছু সংখক দোকানে পাইকারি বিক্রি করছি।
উপসংহার:
আমি আমার জীবন থেকে অনুভব করতে পেরেছি যে বেকারত্ব একটা অসুখ,তাই কাজ করা সুরু করেছি
যদিও অনেক ছোট আকারে, তবে স্বপ্ন অনেক বড়,আর এই স্বপ্ন পুরনের জন্য গড়ে তুলেছি “স্বপ্ন সিঁড়ি” নামে নারী কল্যাণ সমিতি ও স্বপ্নসিরি গার্মেন্টস,লেডিস ফ্যাশন পয়েন্টস্, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল,এখানে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ও রুচিসম্মত ডিজাইনের পোশাক তৈরি করি সম্পুর্ণ নিজের হাতে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019