০৪ মে ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার পুলিশের এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ।

সিলেটের বিশ্বনাথ থানার পুলিশের এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ।

মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি

সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাহেলা বেগম নামের ভূক্তভোগী এক নারী। জানা যায় তিনি উপজেলা সদরের পাশ্ববর্তি জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর প্রথম স্ত্রী। গত রবিবার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বরাবরে তিনি দারোগা লতিফের বিরুদ্ধে এ অ’ভিযোগ দেন। এ সময় অভিযোগে তিনি বলেন গত বৃহস্পতিবার রাহেলা বেগমের সতিন মনোয়ারা বেগমের ৪১ দেওয়া একটি মিথ্যা অভিযোগ তদন্তে বাড়িতে গিয়ে এসআই আব্দুল লতিফ তার কলেজে পড়ুয়া তিন মেয়েকে হুমকি দেন।
এ সময় দারোগা লতিফ অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে তার তিন মেয়েকে ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়ে বলেন তোদের মতো হাজারও বেহায়া মেয়েদের জেলে ঢোকিয়ে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছি। আর আমার হাত কতটুকু লম্বা তোরা কেন? প্রধানমন্ত্রীও জানেন-না। এ সময় রাহেলা বেগম তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন ২০১০ সালে স্বামী ও ৩ ছেলে এবং ১ মেয়েকে ফেলে ১২ বছর বয়সী অপর মেয়ে নাজমা বেমগমকে সাথে নিয়ে রাহেলার স্বামী আশিক আলীকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে করেন মনোয়ারা বেগম। পারিবারিক কলহের জেরে ওই বছর ২ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে রাহেলা স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে একই বাড়িতে আলাদা ঘরে বসবাস করেন। আর তার সতিন মনোয়ারা স্বামী আশিক আলীকে নিয়ে অন্য আরেকটি ঘরে বসবাস করেন। এরপর থেকে সুদের ব্যবসা করে অঢেল টাকার মালিক হন মনোয়ারা। আর মিথ্যা অভিযোগ করে টাকার বিনিময়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি তার আগের তরফের ৩ ছেলে হাসান আহমদ ২০, হোসেন আহমদ ১৮ ও হাবিব আহমদকে ১৭ দিয়ে প্রতিনিয়ত রাহেলা ও তার সন্তানদের প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন মনোয়ারা। বর্তমানে তার রাহেলার দুই ছেলে ব্যবসা করছে আর ৩ মেয়ে কলেজে লেখা পড়া করছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে মনোয়ারার মেয়ে নাজমা বেগম ২১ ও তার প্রেমিক শাহিনকে ২৩ বাড়ির অন্য একটি ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পেয়ে মেয়েকে শাসন করেন আশিক আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ারা তার স্বামীর কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। স্বামী আশিক আলী টাকার জন্য প্রথম স্ত্রী রাহেলার ছেলে ইমামুল ইসলামের কাছে বাড়ির ৯ টি গাছ সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে ওই টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যান। এর পরদিন বুধবার সকালে গাছ কাটার সময় মনোয়ারা থানায় গিয়ে ইমামুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ করেন। রাতে অভিযোগ তদন্তে গিয়ে উভয় পক্ষকে ঝগড়াঝাটি না করতে বলেন এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা। এর পরদিন বৃহস্পতিবার আবারও মনোয়ারা রাহেলার মেঝো মেয়ে সাহেদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করার পর থানায় গিয়ে উল্টো অভিযোগ করেন রাহেলার ছেলে-মেয়েরা তাকে মারধর করেছে। আর এই অভিযোগ তদন্তে ওইদিন দুবার তাদের বাড়িতে যান এসআই আব্দুল লতিফ। এসময় তিনি কলেজে পড়ুয়া মেয়েদের ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুল লতিফ সাংবাদিক কে বলেন মনোয়ারা বেগম তার সতিনের ছেলে-মেয়দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে তিনি তদন্তে গিয়ে আইনগতভাবে যা করতে হয় তাই তিনি করেছেন। এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দক্ষিণ ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ বলেন পুলিশ সুপার না থাকায় এই অভিযোগটি তিনিই দেখছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Show quoted text

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019