০৩ মে ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তিন বছর পর জামিনে কারামুক্ত মামুনুল হক দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর… সাংবাদিককে হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ ও নেক্সট টুর অপারেটর এর মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন
প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা অনৈতিক সম্পর্কে ভিডিও ভাইরাল।

প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা অনৈতিক সম্পর্কে ভিডিও ভাইরাল।

অনলাইন ডেস্ক::পড়াশুনা করানোর কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের হাতেনাতে ধরেছেন গ্রামের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তেহট্ট থানার শ্রীরামপুর স্পেশাল ক্যাডার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী।

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকাকে ফাঁকা শ্রেণিকক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গা ঢাকা দেন ওই শিক্ষিকা। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশত গ্রামবাসী এবং অভিভাবক ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষককে বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখান।

গ্রামবাসীদের দাবি, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে লিপ্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। তালাবদ্ধ অবস্থায় গ্রামের কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি স্কুল অফিসে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। কোনো সমাধান না মেলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে গণপিটুনি শুরু করেন উপস্থিত জনগণ।

জনরোষের শিকার হয় পুলিশও। কোনো রকমে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গাড়িতে তুলে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে ওই শিক্ষকের মোটর সাইকেলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনগণ।

অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় স্কুলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এবং ওই শিক্ষিকা ছাড়া কেউই ছিলেন না। মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা ঘটে বলে গ্রামে কানাঘুষো চলছিল। শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল গ্রামের কয়েকজন যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা স্কুল ঘরে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছেন। স্কুল চত্বরের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও এদিন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় গ্রামবাসীরা মেনে নিতে পারেননি। সেই ক্ষোভ গিয়ে পড়ে শিক্ষকের উপর।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019