০৪ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ তিন বছর পর জামিনে কারামুক্ত মামুনুল হক দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর… সাংবাদিককে হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন
করোনার ভয়ে মৃতদেহ ধরল না পরিবার, শেষকৃত্য করলেন মুসলিম যুবকরা।

করোনার ভয়ে মৃতদেহ ধরল না পরিবার, শেষকৃত্য করলেন মুসলিম যুবকরা।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন বিহারের প্রদেশের একদল মুসলিম যুবক। করোনায় মারা গেছেন মনে করে এক নারীর মৃতদেহ ছুঁতে চায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত ওই মুসলিম যুবকরাই রীতি মেনে ওই হিন্দু নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ঘটনাটি।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, বিহারের গয়া জেলার ইমামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের তেতারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রভাবতী দেবী নামে ৫৮ বছরের ওই নারী। তাকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরটি-পিসিআর টেস্টও করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও পরবর্তীতে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই নারীর। করোনাতেই মারা যান তিনি-এই ভয়ে ওই নারীর স্বামী এবং দুই ছেলে মৃতদেহ নিতে রাজি হননি। ফলে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই পড়েছিল মৃতদেহটি। শেষপর্যন্ত খবর পেয়ে ওই নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেন মো. রফিক, মো. শারিক, মো. কালামি, মো. বারিক, মো. লাদ্দানসহ এলাকারই বেশ কয়েকজন মুসলিম যুবক।
শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সহযোগিতাকারী শারিক বলেন, করোনার কারণেই প্রভাবতী দেবীর মৃত্যু হয়েছে-এ আশঙ্কায় এবং ভয়ে তার স্বামী বা দুই ছেলে কেউই মৃতদেহ নিতে রাজি হননি। ফলে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাড়িতেই পড়েছিল তার মৃতদেহ। শেষপর্যন্ত আমরা খবর পেয়ে সকালে সেখানে যাই। আমরা কয়েকজন গাড়ি থেকে মৃতদেহটি নামাই। এরপর বাঁশ দিয়ে খাট তৈরি করে শবদেহটি নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশে রওনা হই। এমন সম্প্রতির উদাহরণ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকেই ওই মুসলিম যুবকদের কাজের প্রশংসা করেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019