০৫ মে ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
তালতলীতে সাবেক শ্রেষ্ঠ ইউপি সদস্যের মানবেতর জীবনযাপন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

তালতলীতে সাবেক শ্রেষ্ঠ ইউপি সদস্যের মানবেতর জীবনযাপন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

(তালতলী প্রতিনিধি)

বরগুনার তালতলী সদর উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বর) স্বপন হাওলাদার সহজ সরল মানুষ, সততার কারণে দুই বার পেয়েছিলেন বরগুনা জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউপি সদস্য হিসেবে পুরষ্কার, এলাকায় অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন, সকলের কাছে স্বপন মেম্বার নামে পরিচিত।

সম্পত্তি বা জায়গা জমি বলতে ছিল একটি সরকারি খাস জমি ওই জমিতে বসবাস করত স্বপন হাওলাদার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভেঙে ফেলা হয় তাঁর স্বপ্নের বাড়ি, বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী সহ তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাবেক এই ইউপি সদস্য।

একসময়ের ইউপি সদস্য পায়ে হেঁটে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের দুঃখ, সুখের কথা শুনতেন, ভাগ্যের পরিহাসে তাকে এখন ছোট্ট একটি চায়ের দোকানে দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। স্বপন তালতলী সদর উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী উপজেলা পরিষদের সাথে তালতলী পাড়া গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে। তার বয়স ৪৫ বছর।

এর আগে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তালতলী পাড়া এলাকায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন করলেও তিনি তার ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেননি।
বর্তমানে তিনি যে ঘরে বসবাস করেন সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়-তুফানের মধ্যেও তিনি ঘরটি ছেড়ে কোথাও যান না। এ ঘরটি তার শেষ ঠিকানা।

কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, মেম্বার থাকাকালে স্বপন সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। সব সময় অসহায়দের পাশে ছিলেন। এখন তিনি নিজেই জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন।

স্বপন হাওলাদার বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে দূরে গিয়ে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছি। শেষ সম্বল টুকু সরকারি খাস জমি ছিল এখন তা ভেঙে ফেলা হয়েছে, একটি ঘর পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019