২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স:: পটুয়াখালীর বাউফলের সাংবাদিকদের শালা বলে গালি দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন আসম ফিরোজ এমপি। এর আগেও তিনি প্রকাশ্যে সমাবেশে ‘ক্রেস্ট নয় ক্যাস চাই,’ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে ঝড় তুলেছিলেন। গত দুই দিন আগে কালাইয়া লঞ্চঘাট অভিমুখে সরকারী রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি মার্কেটের সামনে এমপি আসম ফিরোজ মোল্লার ভাই ফরিদ মোল্লা পাকা ওয়াল করে ওই মার্কেটে যাতায়ত পথ বন্ধ করে দেয়ায় সচিত্র সংবাদ অনলাইন নিউজপোর্টাল বরিশালটাইমসসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এক সভায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরে তিনি শালা বলে গালি দেন।
ওই সভায় তিনি আরও বলেন, ‘আমার জমির ওপর দিয়ে রাস্তা দিয়েছি। সেই রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করেছি। এ নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক লেখালেখি করেছেন। সাংবাদিক শালাদের বিশ্বাস করবেন না। শালারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছুই হবেনা। আসম ফিরোজ এমপি ওই সভায় উপস্থিত তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আরও বলেন, ‘ওই সব সাংবাদিকদের সঙ্গে আপনারা কোন সম্পর্ক রাখবেন না।’
ওই সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোসারফ হোসেন খান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত খান সানাসহ সহযোগি সংগঠনের কয়েকশ নেতাকমী উপস্থিত ছিলেন।’
এর আগে ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় পাবলিক মাঠে তাকে দেয়া এক সংর্বধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন,‘ ক্রেস্ট নয়, ক্যাস চাই।’
এ ছাড়া তিনি উপজেলা পরিষদের অফিসার্সদের উদ্যোগে ব্যাটমিন্টন খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে দেশব্যাপী ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। এ কারণে তিনি স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকের উপর ভিষন ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমাবেশে বক্তব্যে ওইসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশোদাগার করতেন। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ওই সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো।
সর্বশেষ রবিবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয় আয়োজিত সভা থেকে সাংবাদিকদের শালা বলে গালি দিয়ে সমালোচিত হন। তার এ সাংবাদিক বিদ্বেষী বক্তব্য কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরেও সুশীল সমাজের লোকজনের মধ্যে তাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের।’