২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ডেক্স প্রতিবেদক:: মা-বাবাসহ একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ভাগ্যক্রমে খুনিদের হাত থেকে বেঁচে যায় ছয় মাসের শিশু মারিয়া সুলতানা। শিশুটির আপন বলতে আর কেউ না থাকায় দায়িত্ব নিয়েছেন সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নেন তিনি। আপাতত শিশুটিকে দেখভালের জন্য স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের কাছে বুঝিয়ে দেন ডিসি।
সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে। তবে খুনিরা ছয় মাসের শিশুটিকে হত্যা করেনি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিশুটি।
তিনি বলেন, মায়ের গলাকাটা লাশের পাশে কাঁদছিল শিশু মারিয়া। শিশুটির পরিবারে এখন আপনজন বলতে কেউ নেই। আত্মীয়-স্বজনও কেউ নেই। শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি আমি। আপতত দেখভালের জন্য স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শিশুটির পরিবারের কোনো স্বজন শিশুটির দাবি করলে আইনিভাবে সমাধান করা হবে। শিশুটি এখন থেকে আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউপির খলিসা গ্রামে মাছের ঘের ব্যবসায়ী মো. শাহীনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি ও মেয়ে তাসমিন সুলতানাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনকে হত্যা করলেও শিশু মারিয়াকে মায়ের লাশের পাশে ফেলে রেখে যায় খুনিরা। সেখানে পড়ে কাঁদছিল শিশুটি।
সাতক্ষীরার এসপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ ও শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কলারোয়া থানার ওসি হারান চন্দ্র পাল বলেন, বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।