২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হলে সদর উপজেলার কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম জাকির হোসেন বরিশালে অটোচালকের গলায় ছুরি বসিয়ে ব্যাটারি ছিনতাই,, দম্পতিসহ আটক–৪ চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহে চলেছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, তবে টিনের ঝুপড়িতে গজিয়ে ওঠা দর্শনার কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপকে মহান মে দিবস- ২০২৪ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪ উদযাপন চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বানারীপাড়ায় ২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হতো না- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী নীলফামারীর ডিমলায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় UNDP এবং টুরিস্ট পুলিশ ঢাকা রিজিয়নের পর্যটনের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময়
মাকে ধর্ষণ করত গ্রাম পুলিশ আর তার মেয়েকে ধর্ষণ করতো তার ছোট ভাই

মাকে ধর্ষণ করত গ্রাম পুলিশ আর তার মেয়েকে ধর্ষণ করতো তার ছোট ভাই

কুষ্টিয়ার খোকসায় বিধবা মা ও তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশ সদস্য (চৌকিদার) ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিলেও বিধবা ওই মাকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ নম্বর খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে ওই বিধবাকে ধর্ষণ করে আসছে। এই সুযোগে মুক্তারের আপন ভাই মাহাবুল আলম টিক্কা বিধবার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।

ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকদের জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন। ইউএনও বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুক্তভোগী মা ও মেয়েকে থানায় পাঠান। পরে সোমবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি এজাহার নিয়েছে পুলিশ। তবে মাকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো মামলা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ওই বিধবা মা।

স্কুলছাত্রীর চাচা জানান, টানা দুইদিন তদবিরের পর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার এহাজার নিয়েছে পুলিশ। তবে ছাত্রীর বিধবা মাকে ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মামলা নেয়া হয়নি। একটি মামলায় গ্রাম পুলিশ ও তার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তবে বাদীর চাওয়া অনুযায়ী মামলা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

খোকসা ইউনিয়নের এক মেম্বর ধর্ষকদের পক্ষ নেয়ায় বিধবা মা ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের বিচার শেষ পর্যন্ত হবে কি-না এ নিয়ে শঙ্কায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার।

এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে অভিযুক্ত মুক্তার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বলেন, ওই বিধবার সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। চাকরিচ্যুত করার জন্য তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, বিধবা মা ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম পুলিশ মুক্তার হোসেন ও তার ভাই মাহাবুল আলম টিক্কার বিরুদ্ধে সোমবার থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই গ্রাম পুলিশ মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019