২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠি
ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি গ্রামের দাসেরহাট বাজারের অদূরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের
শিকার অসহায় ১৬ টি পরিবারের মাঝে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য
সামগ্রী বিতরণ করেছেন। রবিবার বিকালে তিনি এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
তার নেতৃত্বে এসময় ভাঙন কবলিত ওই এলাকা পরিদর্শণ করেন বাংলাদেশ পানি
উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিনাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদ ও
বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ
সাদীদ,ওসি শিশির কুমার পাল,পিআইও প্রকৌশলী মো.মহসিন,উপজেলা আওয়ামী লীগের
সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার,সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান
আ.মন্নান মৃধা,উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সম্পাদক
সুজন মোল্লা,পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শফিক শাহিন,সাধারণ সম্পাদক
ফয়েজ আহম্মেদ শাওন,পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল চৌধুরী,সহকারি
শিক্ষক হায়দার আলী,স্থানীয় ইউপি সদস্য পনিরুজ্জামান পনির প্রমুখ। এর আগে
শনিবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শণ করে সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ ও তাদের পুনর্বাসনে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি গ্রামের
দাসেরহাট বাজারের অদূরে ভাঙন কবলিত নদীর তীরে বসবাসরত রতন বাড়ৈ,নিকুঞ্জ
দেউরী,মনি বাড়ৈ,অনিল দেউরী,যশরত নাটুয়া,সুনীল মাল,হাবিব সিকদার,রাজে আলী
সিকদার,নির্মল বাড়ৈ,অমৃত মধু,শ্যামল গাইন ও কৃষ্ণ বৈদ্য সহ ১২ টি
পরিবারের ঘরবাড়ি ও গাছপালা সহ বসতভিটা সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে
যায়।এছাড়া পরের দিন শনিবার সকালে কিতাংশু,কালু,সুভাষ রাড়ী ও জগদিশের
বসতভিটার একাংশ নদী গ্রাস করে ফেলে। সেখানে এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে চোখের সামনে নিমিশের মধ্যে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে ওই
পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের চোখে এখন কেবলই ঘোর অমানিশার
অন্ধকার।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিনাঞ্চলের প্রধান
প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদ জানান ঢাকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নদী
ভাঙনের এ বাস্তব চিত্র অবহিত করা হবে। পরে সেখান থেকে নদীর ভাঙন রোধে
কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ###