২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
গ্রাহকের প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার

গ্রাহকের প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার

অনলাইন ডেস্ক

ঈদের দুইদিন আগে উধাও হয়ে গেছেন পূবালী ব্যাংক চাঁদপুর নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী। যাওয়ার সময় নিয়ে গেছেন এক গ্রাহকের ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী। আর কোনো গ্রাহকের টাকা নিয়েছেন কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছে।

জানা গেছে, ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে। তিনি সপরিবারে দেশের বাইরে চলে গেছেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চাঁদপুর নতুন বাজার শাখায় যোগ দেন তিনি। এর আগে তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

৮ এপ্রিল গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় গেলে ৯ এপ্রিল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আকবর হোসেন লিটন নামের এক গ্রাহকের ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ৮ এপ্রিল ব্যাংকে জামা দেয়ার কথা থাকলেও টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন ওই ব্যাংক ম্যানেজার।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহক আকবর হোসেন বলেন, আমার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখেছে। তিনি যে চলে যাবেন তা তো আর আমি জানি না। তিনি বৃহস্পতিবার আমাকে টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু তিনি আর সেদিন অফিসে আসেননি। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তার সাথে আর দেখা হয়নি।

একজন ব্যাংক ম্যানেজারের এমন উধাও হওয়ার খবরে গ্রাহকদের মাঝে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। আকবর হোসেন এর নিকট আত্মীয় জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, যেহেতু কর্মকর্তা তাদের, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়দায়িত্ব না এড়িয়ে তারা এই বিষয়ে ভূমিকা নিতে পারে। যেভাবে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে সে রকম কার্যক্রম করাই জরুরি। না হলে পূবালী ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ আর এ ব্যাংকে ব্যাংকিং করতে চাইবে না। শুধু এ ব্যাংকই নয় টোটাল ব্যাংক খাতেই একটা প্রভাব পড়বে। আস্থাহীনতা তৈরি হবে। যদি ব্যাংক ম্যানেজারই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় তাহলে মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা কীভাবে রাখবে?

এদিকে দায়িত্বে থাকা বর্তমান ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলছেন, ওই ম্যানেজার না আসাতে আমাকে এই ব্যাংকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। ইর্ন্টানাল কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে ম্যানেজারকে না পাওয়ায় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019